চেন্নাইয়ের মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জায়গা হল না বাংলার মহম্মদ শামির। ৪৩৪ দিন বাদে দেশের জার্সিতে খেলার জন্য প্রত্যাবর্তন ঘটলেও, পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় সূর্যকুমার যাদবের ভারতীয় দলে খেলার ডাক এল না। অনেকেই আশা করেছিলেন ইডেন উদ্যানে শামিকে দেখতে পাওয়া যাবে। এমনকি অনুশীলনের সময় শামিকে পরিশ্রম করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কোচ গৌতম গম্ভীর শামির দিকে কড়া নজর রেখেছিলেন। মাঝেমধ্যেই দেখা গিয়েছে, শামি যখন বল করছেন, তখন দৗড়নোর সময় ব্যথা অনুভব করছেন। তাই কোনওভাবেই চোট পাওয়া খেলোয়াড়কে দলে রাখার প্রয়োজন অনুভব করেননি কোচ।
আসলে হাঁটুতে স্ট্র্যাপ বাঁধা ছিল। হতে পারে দলের ভারসাম্যের জন্য তাঁকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রাখা সম্ভব হল না। চেন্নাইয়ের মাঠে শামিকে দেখা যাবে, এমন একটা ধারণা জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু সেই ভাবনা বাস্তবে রূপ পেল না। শুধু শামি নন, চোটের কারণে দুই ক্রিকেটার নীতীশকুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিংও দলের বাইরে রয়েছেন। তখন ১৫ জনের দলের মধ্যে শামির নামটা দেখা গিয়েছিল। তাই শামি নিজেও ভেবেছিলেন তাঁর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর ও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব সিদ্ধান্ত নেন স্পিনারদের উপরেই নির্ভর করতে হবে চেন্নাইয়ের উইকেটে। আসলে নীতীশের পেশীতে টান রয়েছে তাই তিনি পুরো সিরিজ থেকে বাদ চলে গেলেন। রিঙ্কু এক-দু’দিনের মধ্যেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবেন।
সেক্ষেত্রে পরবর্তী ম্যাচের জন্য তাঁর কথা ভাবা হতে পারে। সেই কারণেই শনিবার খেলা শুরুর আগে একজন ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ধ্রুব জুরেলকে নেওয়া হল আর নীতীশের জায়গায় দলে এলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অর্থাৎ অধিনায়ক সূর্যকুমার ভেবেছেন, ভারতীয় দলে একজন অলরাউন্ডারের খুব প্রয়োজন। দলে চারজন স্পিনারকে রাখা হয়েছে। শনিবার খেলা শুরু হওয়ার আগে শামির সঙ্গে কোচ ও অধিনায়ক যেমন কথা বলেছেন, তেমনই বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের সঙ্গে কথা হয়।
এমনকি শামিকে বল করতেও দেখা গিয়েছিল নেটে। তখনই শামি আশা করেছিলেন প্রথম একাদশে হয়তো তিনি আসবেন। এমনকি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে ভারতীয় দলে মহম্মদ শামির নাম রয়েছে। কোচ চেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ও অন্য ম্যাচে শামিকে খেলিয়ে ম্যাচের টেম্পার্টমেন্টটোকে তৈরি করে নিতে। কিন্তু তা সম্ভব হল না। সেই কারণেই শামিকে জাতীয় দলে ফিরতে এখনও অপেক্ষায় থাকতে হবে। টসে জিতে চেন্নাইয়ের মাঠে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বল করার সিদ্ধান্ত নেন।