রুপাের মেয়ে ঘরে ফিরছে আজ, সাজো সাজো রব ইম্ফলে

দেশে ফিরছেন মীরাবাঈ চানু। শনিবার অলিম্পিকে ভারত্তোলনে রুপাে জয় করে গােটা দেশকে আনন্দ দিয়েছেন তিনি। এবার বাড়ি ফেরার প্রতিক্ষা।

Written by SNS Tokyo | July 26, 2021 2:49 pm

মীরাবাঈ চানু (File Photo: SNS)

দেশে ফিরছেন মীরাবাঈ চানু। শনিবার অলিম্পিকে ভারত্তোলনে রুপাে জয় করে গােটা দেশকে আনন্দ দিয়েছেন তিনি। এবার বাড়ি ফেরার প্রতিক্ষা। আজ, সােমবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন তিনি।

তারপর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ধরবেন ইম্ফলের উড়ান। মেয়ে এতদিন পর ঘরে ফিছে। তাও আবার সারা বিশ্বের কাছে মুখ উজ্জ্বল করে। সেকারণে ইম্ফলের নংপক কাকচিং গ্রামজুড়ে সাজো সাজো রব। শুধু মীরাবাঈ চানুর বাড়িতেই নয়, যেন গােটা ইম্ফল মুখিয়ে রয়েছে চানুকে স্বাগত জানানাের জন্য।

তর সইছে না প্রতিবেশীদের ঘরের মেয়েকে বরণ করবেন বলে। মীরাবাঈয়ের মা সাইখােম অংবি টমবি লেইমা সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনেকদিন ওকে দেখিনি। শনিবার ওর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। আমরা কতটা যে গর্বিত তা বলে বােঝাতে পারব না। শুধু মীরাবাঈয়ের মা নয়, পাড়া-প্রতিবেশীরাও মুখিয়ে রয়েছেন কখন তাদের মেয়ে ঘরে আসবে।

টোকিওর মাটিতে চানু যখন শেষ দফার লড়াই লড়ছিলেন, সেই সময় ভিড় উপচে পড়েছিল চানুর গ্রামের বাড়িতে। এত নির্মল আনন্দ চানুর গ্রামের লােকেরা আগে কখনও পাননি। মেয়ের অলিম্পিকে পদকজয় বলে কথা। আসলে সবাই যেন কেমন একটা ঘােরের মধ্যে রয়েছেন। চানু ফেরা না পর্যন্ত সেই ঘাের কাটবে বলে মনে হয় না।

মণিপুরের ইম্ফল শহর থেকে ২০ কিলােমিটার দুরে চানুর গ্রাম। এ গ্রামে যেতে হলে পায়ে হাঁটাটাই ভরসা। কারণ পাহাড়ি গ্রাম, সেই পাহাড়ি গ্রামের মেয়েই আজ গােটা বিশ্বের সামনে দেশের সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে। মুকুটে জুড়েছে নতুন পালক। চানুকে পথ দেখিয়েছেন কুঞ্জরানি দেবী।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সাতবারের রুপােজয়ী কুঞ্জরানি চানুকে ভারােত্তোলনে নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল। আর সেই নেশার ওপর ভর করেই ১৪ বছরের মধ্যেই জীবনের লক্ষ্য বদলে গেল চানুর। শীর্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে চানু। এবার বাড়িতে বেশ কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম। ইতিমধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং চানুর জন্য এক কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘােষণা করেছেন।

সেই সঙ্গে রােলের চাকরিতে পদমর্যাদা বাড়ছে চানুর। অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য প্রায় দু’বছর ঘরছাড়া চানু। ২৬ বছরের এই তরুণী এখন সমস্ত কোলাহল পিছনে ফেলে রেখে ফিরতে চান নিজের পাহাড়ি গ্রামে।

১২ বছর বয়স থেকে বন থেকে মাথায় করে পাহাড়ের এবড়ােখেবড়াে রাস্তা দিয়ে কাঠের বােঝা নিয়ে আসতে যে কিশােরী সেই কিশােরীর হাত ধরেই এলাে অলিম্পিকের অনন্য সম্মান।

আসলে কাঠের সেই ভারের যন্ত্রণা লাঘব হয়েছিল চানুর ইচ্ছেশক্তির কাছে। আর সেই ইচ্ছেশক্তির ওপর ভর করে ভারােত্তোলনে ভারতের জন্য রুপাে আনলেন চানু।