আইএসএল ও সুপার কাপ ফুটবল শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থা নিয়ে জর্জরিত মহমেডান। যার ফলে সাদা-কালো শিবিরের কর্মকর্তারা শুধু চিন্তায় নয়, কীভাবে নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা জোগাড় করবেন, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ নেই। শ্রাচী ও বাঙ্কারহিলকে নিয়ে একসঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন মহমেডানের আমিরউদ্দিন ববিরা। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানের পথ খোলা যায়নি। ফুটবলারদের পাওনা টাকা নিয়ে গত মরশুমে মাঝেমধ্যেই মহমেডান শিবিরে বিদ্রোহ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এখনও ফুটবলাররা সাত মাসের টাকা পাননি। কীভাবে এই টাকা পরিশোধ করা যায়, সেই চেষ্টায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মহমেডানের কর্মকর্তারা। এই ব্যাপারে মহমেডানের সহসভাপতি কামারউদ্দিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের সমস্যার কথা বলতে চাই। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী মাসে চেষ্টা করা হবে।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে, শেয়ার না পাওয়ায় এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে শ্রাচি বলেছে, তারা আর মহমেডানে লগ্নি করতে চাইছে না। এমনকী, শ্রাচী কর্তা তমাল ঘোষালকে বলতে শোনা গেছে যে, ‘শেয়ার আমরা পাইনি বলেই ফান্ডিং বন্ধ করেছি। শেষ পর্যন্ত শেয়ার না পেলে আমরা যে টাকা লগ্নি করেছি, তা ফেরত চাইতে পারি।’ শ্রাচীর দাবি অনুযায়ী প্রায় ১৬ কোটি টাকা লগ্নি করেছে তারা মহমেডানকে। এই কথা শুনে মহমেডান সভাপতি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ওদের বাঙ্কারহিলের থেকে শেয়ার নেওয়ার কথা। সেটা ওরা বাঙ্কারহিলের থেকে বুঝে নেবে। আমাদের কী বলার আছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মহমেডানের একমাত্র ভরসা মুখ্যমন্ত্রীই।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বকেয়া অর্থ না পেয়ে ফিফার দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার। কোচ আন্দ্রে চেরনিশভও ফিফায় চিঠি লিখেছেন। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবের এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। সুপার কাপে অংশ নিতে সাদা-কালো শিবিরের কর্মকর্তারা নিজেরাই অর্থ দিয়ে দলকে ভুবনেশ্বরে পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় কিছু ফুটবলারকে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবুও বিরাট অঙ্কের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। কীভাবে ফুটবলার ও কোচদের এই বকেয়া অর্থ মেটানো যায় তা নিয়ে মহমেডানের কর্মকর্তাদের চিন্তার শেষ নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া এই সমস্যা কিছুতেই মেটানো সম্ভব হবে না।