বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনাল প্রাকটিস ম্যাচে লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনির শতরান

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনাল প্র্যাকটিস ম্যাচে রান না পেলেও, বিরাট কোহলি রান পেলেন। লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি করলেন শতরান।

Written by SNS Cardiff | May 29, 2019 7:34 pm

লােকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (Photo: IANS)

ভারতীয় ওপেনাররা আবারও নজর কাড়তে ব্যর্থ হল। রােহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান বিশ্বকাপের মহারণে নামার আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনাল প্র্যাকটিস ম্যাচে রান না পেলেও, বিরাট কোহলি রান পেলেন।

তবে দেখার বিষয় ছিল চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে কে প্রধান ভূমিকা নিতে চলেছেন জাতীয় দলে মহারণে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া লােকেশ রাহুলের উপরই ভরসা রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পাশাপাশি চোট সারিয়ে বিজয় শঙ্কর দলে ফিরলেও, কাজের কাজটা করতে পারলেন না। চার নম্বরে ব্যাট করতে না পারলেও, পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যক্তিগত দু’রান করেই আউট হয়ে গেলেন। তবে, প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে রান না পেলেও, কার্যকরী ভূমিকা নিলেন এবং নিজে চার নম্বর জায়গায় ব্যাট করার জন্য কতটা প্রস্তুত রয়েছেন সেটার প্রমাণ দিয়ে গেলেন লােকেশ রাহুল।

পাশাপাশি পুরানাে ফর্মে দেখা গেল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনিকে যারা তাঁর পুরানো ফর্মে দেখতে চাইছিলেন সেটা পরিষ্কার দেখিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন কুল। আর তিনি আসন্ন বিশ্বকাপের আসরে মাঠ কাপানাের জন্য ক্যাপ্টেন কুলের বাট যে মুখিয়ে রয়েছে সেটা এখন থেকে বলে দেওয়া যেতে পারে।

বৃষ্টির জন্য খেলা মঙ্গলবার সঠিক সময় শুরু না হলেও, টসে জিতে প্রথমে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাের্তাজা ভারতকে ব্যাট করার জন্য আহ্বান জানান। বৃষ্টি হলেও, খেলা পুরাে ওভার নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়ররা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনাররা সেভাবে শুরুটা করে দিতে পারল না দলকে। আবারও ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখাল ভারতীয় দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রােহিত শর্মা। দু’জনে মিলে বাংলাদেশের পেস বােলারদের মুখােমুখি হতে পুরােপুরি চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ রানের মধ্যে এক উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চাপমুক্ত করার জন্য রােহিত ও বিবটি দায়িত্ব নিলেও, রােহিত অনেকটাই ধীর গতিতে খেললেও, বিবাট নিজস্ব স্টাইলে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।

কিন্তু রােহিত ব্যক্তিগত উনিশ এবং বিরাট যখন সাতচল্লিশ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন তখন দলের রান তিরাশি। এরপর লােকেশ রাহুল চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বেশ নজর কাড়ছিলেন। দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বিজয় শঙ্কর সযােগটা পেয়েও কাজের কাজটা করে দেখাতে পারলেন না। ব্যক্তিগত দু’রান করে একটা খারাপ শটে আউট হয়ে যান। চোট সারিয়ে দলে ফিরেও কাজের কাজটা করা হল না তাঁর।

চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের দায়িত্ব নেন লােকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুজনে মিলে প্রথমে পরিবেশ ও পিচের অবস্থা পুরােপুরি বুঝে নিয়ে কাজের কাজটা করে যান। লােকেশ রাহুল যে যােগ্য চার নম্বরে খেলার জন্য তা তিনি প্রমাণ করে দিলেন ৯৯ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটি খেলে, যার মধ্যে ছিল বারােটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি।

ধোনি ও রাহুল দু’জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ১৬৪ রানের পার্টনারশিপ যােগ করে দিয়ে দলকে ভালাে জায়গায় পৌঁছে দেন। তবে রাহুল আউট হয়ে গেলেও, শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই পুরানাে ব্যাটিং ঝলক দেখে সকলের মন ভরে গেল। এবং তিনি যে প্রস্তুত রয়েছেন বিশ্বকাপের আসরে খেলতে নেমে ঝোড়াে ব্যাটিং করার জন্য তা সকলেই বুঝে গেলেন। সাতটি ওভার বাউন্ডারি ও আটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৭৮ বল খেলে ধোনি ১১৩ রান করে দলকে তিনশাের গন্ডি পার করে দেন।

শেষদিকে হার্দিক, কার্তিক ও জাদেজাদের ঝােড়াে ব্যাটিংয়ে ভারত সাত উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রান তােলে। ৩৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দল ২৬৪ রান করে থেমে যায়। মুশফিকুর রহিমের ৯০ ও লিটন দাসের ৭৩ রান উল্লেখযোগ্য। কুলদীপ যাদব ও যজুভেন্দ্র চাহাল তিনটি করে উইকেট পেয়েছে।