• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে কেরল প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে

জয়মিত এবং সিদ্ধার্থ দেসাইয়ের জুটি কেরলকে হতাশ করে তুলেছিল

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রঞ্জি ট্রফিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম বার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল কেরল। সবচেয়ে দেখার বিষয়, কেরল শেষ আটের ম্যাচে ১ রানে জয় পেয়েছিল। আর শেষ চারের খেলায় দুরন্ত লড়াই শেষে বিদর্ভকে ২ রানে হারিয়ে ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। ফাইনালে কেরলকে খেলতে হবে ৪২ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে হারানো বিদর্ভ দলের বিরুদ্ধে। শেষ চারের ম্যাচে কেরল গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ রানে এগিয়েছিল। সেই সুবাদেই ফাইনালে তারা পৌঁছে গেল। বিদর্ভ হারিয়েছে মুম্বই দলকে ৮০ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৪৫৭ তোলার সুবাদে অনেকেই কেরলকে ফাইনালে ওঠার দাবিদার মনে করেছিলেন। তবে গুজরাত লড়াই ছাড়েনি। ঘরের মাঠে প্রিয়াঙ্ক পঞ্চাল (১৪৮), আর্য দেসাই (৭৩), জয়মিত পটেলের (৭৯) সৌজন্যে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে তারা। এ দিন গুজরাত খেলা শুরু করেছিল ৪২৯/৭ নিয়ে। শুক্রবারই শেষ দিন ছিল। তাই ২৯ রান করে প্রথম ইনিংসে লিড নিলেই ফাইনাল নিশ্চিত ছিল গুজরাতের। এই অবস্থায় কেরলকে জয় এনে দেন বাঁ হাতি স্পিনার আদিত্য সরওয়াতে। শেষ তিনটি উইকেটই তিনি নিয়েছেন।

জয়মিত এবং সিদ্ধার্থ দেসাইয়ের জুটি কেরলকে হতাশ করে তুলেছিল। লিড নিতে ২৩ রান বাকি থাকা অবস্থায় জয়মিতের ক্যাচ ফেলেন কেরল অধিনায়ক সচিন বেবি। তবে সেই ওভারেই আউট হন জয়মিত। একাধিক রিপ্লের পর আম্পায়ার তাঁকে আউট দেন। তবে অর্জন নাগওয়াসওয়ালা আগ্রাসী খেলে গুজরাতের লিড নেওয়ার কাছাকাছি এনে দেন।

গুজরাত ১১ রান পিছিয়ে থাকা অবস্থায় নবম উইকেট হারায়। সরওয়াতে ফেরান সিদ্ধার্থকে। ক্যাচ আউটের বিরুদ্ধে সিদ্ধার্থ রিভিউ নেন। তবে ব্যাটে না লাগলেও বল তাঁর প্যাডে লেগেছিল বলে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি দেখেন আম্পায়ার। সেখানে দেখা যায় সরওয়াতের বল উইকেটে লাগছে। তাই ফিরতেই হয় সিদ্ধার্থকে।

তবে শেষ উইকেটটি আরও বেশি নাটকীয়। গুজরাতকে লিড নিতে তখন মাত্র তিন রান করতে হবে। এমন সময় নাগওয়াসওয়ালার জোরালো শট শর্ট লেগে দাঁড়ানো সলমন নিজারের হেলমেটে লেগে আকাশে উঠে যায়। সেই ক্যাচ ধরেন শচীন। দু’রানের লিড নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে কেরল। বাকি সময়ে তারা চার উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তোলে।

এ দিকে, বিদর্ভের প্রথম ইনিংসে তোলা ৩৮৩ রানের জবাবে ২৭০-এ শেষ হয়ে গিয়েছিল মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ তোলে বিদর্ভ। মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৪০৬ রান। তারা ৩২৫ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব (২৩) ও অজিঙ্ক রাহানে (১২) ব্যাটে ব্যর্থ হন। একটা সময় লড়াইয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি ৬৬ রান করেন।