• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

দেশকে জেতানোই আমার লক্ষ্য : রাহুল

একদিনের ক্রিকেটে প্রথমে লোকেশ রাহুল সাধারণত মাঠে নামতেন ছয়ে। আর সেই জায়গা বদল করে তিনি এখন মাঠে নামছেন পাঁচ নম্বরে।

লোকেশ রাহুল।

সমালোচকরা সবসময় নানাভাবে সমালোচনা করে বিভ্রান্ত করে থাকেন খেলোয়াড়দের। তাঁরা কখনওই উৎসাহিত করার জন্য কথা বলেন না। কীভাবে একজন ক্রিকেটারের মন ভেঙে যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ তৎপর হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেদিকে নজর না দিয়ে ভারতের অন্যতম ক্রিকেট সৈনিক লোকেশ রাহুল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘আমি কোন পজিশনে খেলতে নামব, সেটা তো দলের দায়িত্ব। সেটা ভালো বুঝবেন অধিনায়ক। ভালো বুঝবেন কোচ। সেই কারণে কোথায় ব্যাট করতে নামলাম, সেটা আমার কাছে মুখ্য নয়। আমার একটাই কাজ, দেশকে জেতানো এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। এবারে লোকেশ রাহুল একটু অন্যভাবে নিজের কথা বলতে গিয়ে বললেন, আমি যেসময় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম, সেই সময়টা কিন্তু অত্যন্ত ভাইটাল। ভারতীয় দলকে জেতানোর জন্য মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করে ফেলেছিলাম। একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে কীভাবে লড়াই করতে হবে, সেটাই আসল কথা। এভাবেই প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি।

একদিনের ক্রিকেটে প্রথমে লোকেশ রাহুল সাধারণত মাঠে নামতেন ছয়ে। আর সেই জায়গা বদল করে তিনি এখন মাঠে নামছেন পাঁচ নম্বরে। পাঁচ নম্বরে খেলা মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় খেলতে নেমে শুধু নিজেকে সংযত করা নয়, দলের পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। তাই লোকেশ রাহুল বলেছেন, ড্রেসিংরুম থেকে ব্যাট নিয়ে যখন মাঠে নামলাম, তখন অঙ্গীকার করেছিলাম, ভারতকে জিতিয়ে আনতে হবে মরু শহর থেকে। তার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রতিটি বল খেলার চেষ্টা করেছি। জানি না আমি নিজে কতটা সফল হয়েছি। তবে, ভারতকে জেতাতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

রাহুল ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছিলেন, ক্রিকেট খেলাটা একটা টিম গেম। দলের প্রয়োজনে খেলতে হয়। আর সতীর্থ ক্রিকেটারদেরও সহযোগিতা করতে হবে। তাই লোকেশ মনে করেন, কোন জায়গায় ব্যাট করতে নামলাম, সেটা কিন্তু বড় কথা নয়। দলের মধ্যে যদি একতা থাকে এবং যুদ্ধ করার মানসিকতা তৈরি করা যায়, সেখানে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাটা খুব একটা কঠিন হয় না। অবশ্য এর জন্য একটা প্রস্তুতি দরকার থাকে। বুঝতে হবে নিজেকেও। খেলার বাইরেও একটা খেলা থাকে। তাই যে কোনও পজিশনে সেই খেলাটা মানিয়ে নিতে হবে। আর নিজে যদি সাহসী ভূমিকা নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে রাখা যায়, তাহলে জয় পাওয়াটা সহজ হয়ে যায়। তারই উদাহরণ হয়ে থাকল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জয়ের লড়াইয়ে।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে জয়ের উল্লাসে যখন সবাই মাতোয়ারা, হয়তো তখন লোকেশের মনে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বরের কথা মনে পড়ছিল। খেলা ছিল একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। সেই খেলায় লোকেশ খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন। ধীর গতিতে খেলায় সেদিন ভারতকে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আর ২০২৫ সালের ৯ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলায় জয়ের নায়ক হিসেবে কে এল রাহুলের নামটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি দর্শকদের কাছে নয়নের মণি হয়ে উঠলেন। রবিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লোকেশের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।