ভিভকে টপকে গেলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট

একদিনের ক্রিকেটে জয়ের নিরিখে ভিভ রিচার্ডসকে টপকে গেলেন বিরাট কোহলি। সত্তর ম্যাচে পঞ্চাশটি ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন ভিভ। সেখানে একটি ম্যাচ কম খেলে অর্থাৎ উনষাটটি ম্যাচ খেলেই বিরাট পঞ্চাশতম জয় পেয়ে গেলেন।

Written by SNS Southampton | June 7, 2019 8:20 pm

ভিভ রিচার্ডস ও বিরাট কোহলি (Photo: IANS)

রােহিতের অপরাজিত শতরান করার সুবাদে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করেছে ভারতীয় দল। আর এই জয়ের পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেটে জয়ের নিরিখে ভিভ রিচার্ডসকে টপকে গেলেন বিরাট কোহলি। সত্তর ম্যাচে পঞ্চাশটি ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন ভিভ। সেখানে একটি ম্যাচ কম খেলে অর্থাৎ উনষাটটি ম্যাচ খেলেই বিরাট পঞ্চাশতম জয় পেয়ে গেলেন।

তবে সবথেকে কম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিলেন দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। তিনি ৬৩ টি ম্যাচের মধ্যেই পঞ্চাশতম জয় তুলে নিয়েছিলেন।

পাশাপাশি বলে রাখা প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংও ক্লাইভ লয়েডের মতন ৬৩ টি ম্যাচের মধ্যেই পঞ্চাশতম জয় তুলে নিয়েছিলেন। এবং প্রয়াত প্রাক্তন প্রােটিয়াস অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে আটষট্টিতম ম্যাচে পঞ্চাশটি জয় পেয়েছিলেন। তবে, বিরাট কোহলি উপমহাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে দ্রুততম পঞ্চাশতম জয় তুলে নিলেন। শুধু বিরাট কোহলি নন, রােহিত শর্মাও একদিনের ক্রিকেটে সর্বাধিক ছয় মারার নিরিখে নজির গড়ে তালিকায় শীর্ষে চলে গেলেন।

যেখানে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলাে দুটো তিনটে করে ম্যাচ খেলে ফেলছে। সেখানে ভারতীয় দল সবেমাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তবে অজিদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় দল পিচের পরিস্থিতিটা ভালাে করে বােঝার চেষ্টা করবে।

দলের বােলাররা কাজের কাজটা করে দেখালেও, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও লােকেশ রাহুলরা বিশ্বকাপের শুরুতে সেভাবে নজর কাড়তে পারলেন না। অবশ্য তাদের পুরােপুরি দোষ দেওয়া যায় না। কারণ পিচের চরিত্র মাঝে মধ্যে এমন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল যেখানে বুঝে ওঠার আগে ব্যাটসম্যানদের আউট হয়ে যেতে হচ্ছিল।

পাশাপাশি রােহিত শর্মাও কিন্তু দু’টো সুযােগ দিয়ে বসেছিলেন। সেই ক্ষেত্রে পিচের অবস্থান অনুযায়ী অজিদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলকে যে বাউন্সর বলে প্র্যাকটিস করতে হবে সেটা আগাম বলা যায়।

পাশাপাশি জয়ের পর বিরাট কোহলি এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব দলের বােলারদের এবং রােহিতকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রােহিতের কেরিয়ারে এটাই হচ্ছে সেরা শতরান সেটা আমি কেন ও বলবে। যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়ে রােহিত দলের হাল ধরেছিল তা সত্যিই অসাধারণ। আর হ্যা আমাদের দলের বােলারদের নিয়ে আমি আলাদা করে প্রশংসা করব না। কারণ আমার পুরােপুরি দলের বােলারদের উপর ভরসা ছিল তাঁরা কাজের কাজটা করে দেখাবে। আর তারা সেই কাজের কাজটা করে দেখাতে সফল হয়েছে। সেইসঙ্গে এইরকম পিচে চাহাল যে লেগস্পিনারের ভূমিকায় অসাধারণ বােলিং করলেন তা অসাধারণ। আর বুমরাকে নিয়ে তাে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কারণ, ও জানে ওঁর কাজটা কি। আর অভিজ্ঞ বােলার না হলেও, কাজের কাজটা কি করতে হয় কেমন ভাবে উইকেট তুলে নিতে হয় কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে বল করতে হয় সেটার ব্যাপারে ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে।’

‘অতীতে দাবা খেলতাম বলে আমি ব্যাটসম্যানরা কখন কোথায় কীভাবে সরে যাচ্ছে সেটা ভালােভাবে বুঝতে পারি। দাবা খেলতাম বলেই আজ এই সাফল্য পেয়েছি। বিশ্বকাপের মতন আসরে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে এতটা ভালাে পারফরমেন্স করে দেখাব সেটা আমি কখনােই আশা করতে পারিনি। তবে বিশ্বাস ছিল সুযােগ পেলে নিজের সেরাটা মেলে ধরব। আর বিশ্বকাপের মতন আসরে নিজের সেরা খেলাটা মেলে ধরতে পেরে খুব ভালাে লাগছে, প্রতিযােগিতায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই লক্ষ্য,’ এমন কথাই জানালেন যজুভেন্দ্র চাহাল।