• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাকিস্তানের ২৪১ রান তাড়া করে জয় ভারতের

বল করতে গিয়ে পায়ে ব্যথা শামির

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি উইকেট নিয়ে ভারতের দ্রুতগামী বোলার মহম্মদ শামি আবার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করতে নেমে লজ্জার নজির গড়লেন। বল করার সময় তিনি পায়ের ব্যথা অনুভব করেন। টসে জিতে পাকিস্তান ব্যাট শুরু করে। ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন শামি। আর এদিন শুরুটা ভালো হল না শামির। প্রথম ওভারেই শামি পাঁচটি ওয়াইড বল করলেন। অর্থাৎ লজ্জার নজির গড়ে এক ওভারে ১১টি বল করলেন তিনি। অবশ্য একদিনের ম্যাচে এক ওভারে ১১টি বল করার নজির গড়া অতীতে দেখা গিয়েছে ভারতের দুই বোলারের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১টি বল করেছিলেন জাহির খান। একই ঘটনা ঘটেছিল ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ইরফান খান ১১টি বল করেছিলেন এক ওভারে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শামির থেকেও বেশি বল করার নজির রয়েছে। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনাশে পানইয়ানগারা এক ওভারে সাতটি ওয়াইড বল করেছিলেন।

প্রথম ওভারে খারাপ বোলিং করলেও, দ্বিতীয় ওভারে বল করতে নেমে শামি আরও বিপদে পড়েন। হঠাৎই পায়ে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। মাঠে ছুটে আসেন ফিজিও। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করেন তিনি। কোনও মতে ওভারটি শেষ করে ড্রেসিং রুমে চলে আসেন। পরে অবশ্য মাঠে নামেন। শামি মোট ৮ ওভার বল করেন। ৪৩ রান দিয়ে একটাও উইকেট পাননি।

Advertisement

এদিকে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওঙাকে ২৪১ রান করে সবাই আউট হয়ে যায়। ভারতের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ২৪২ রান। আসলে ভারতের বোলারদের দাপটে মহম্মদ রিজওয়ান ও আজম বাবররা শক্ত হাতে ব্যাট করতে পারেননি। একমাত্র এস শাকিল অর্ধশত রান করার কৃতিত্ব দেখান। শাকিলের ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রান শাকিলকে ৬২ রানে আউট করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শাকিলের ব্যাট ছুঁয়ে বলটি চলে আসে অক্ষর প্যাটেলের হাতে। দলের অধিনায়ক রিজওয়ান করেন ৪৬ রান। অক্ষর প্যাটেলের বলে তিনি সরাসরি বোল্ড আউট হন। বাবর আজম এদিন ব্যর্থ হলেন। বড় অঙ্কের রান উপহার দিতে পারেননি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাবরকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান হার্দিক পাণ্ডিয়া। বাবরের ব্যাটে লেগে বল চলে যায় লোকেশ রাহুলের হাতে। শেষের দিকে নাসিম শাহ একটু ধরে খেলায় চেষ্টা করেন। তিনি ১৪ রান করেন। এই উইকেটটি নেন হর্ষিত রানা। খুশদিলের ক্যাচটা তালুবন্দি করেন বিরাট কোহলি। ভারতের ছয় বোলারকে ব্যবহার করেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শামি ছাড়া প্রত্যেক বোলরই উইকেট পেয়েছেন। কুলদীপ যাদব ৯ ওভারে ৪০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন। কুলদীপ অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। হার্দিক ২টি উইকেট পান ৮ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে।

Advertisement

পাকিস্তান নিজেরা সমস্যায় পড়েছে। নিউজিল্যান্ডের মতো ভারতের বিরুদ্ধে প্রচুর ডট বল খেলেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ২০ ওভারে ৮০টি ডট বল খেলেছেন পাক ক্রিকেটাররা। অর্থাৎ ১৩.২ ওভারে কোনও রান তারা করতে পারেনি। দুই ওপেনার বাবর ও ইমাম উল হক তবুও রান করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁরা আউট হয়ে গেলে অধিনায়ক রিজওয়ান ও সাউদ শাকিলও সেই খোলস থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি। বড় শট নেওয়ার কোনও চেষ্টা করেননি। যার ফলে রান হয়েছে ধীর গতিতে। আসলে চাপে পড়ে গেলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা কেমন যেন চুপসে যান। বড় ভূমিকা নিয়ে খেলার কথা ভুলে যান। তার ফলে বোলাররা আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। ভারতের বোলাররা সেই সুযোগটা নিয়ে পাকিস্তানকে ২৫০ রানে পৌঁছতে দেয়নি।

ভারত খেলতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করে। ওপেনার শুভমান গিল ও বিরাটের ব্যাটে ভর করে ভারত ছয় উইকেটে জয়লাভ করে। শতরান করে অপরাজিত রইলেন বিরাট কোহলি। শুভমানের ৫২ বলে ৪৬ রান এবং শ্রেয়স আয়ারের ৬৭ বলে ৫৬ রান ভারতের জয় আনতে সহায়ক হয়।

Advertisement