সুপার লিগে ছুটির দিনে নর্থ বেঙ্গল ইউনাইটেড এফসি ও হাওড়া-হুগলি ওয়ারিস দলের খেলা ছিল। দর্শকহীন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠেই খেলা হলো বলা যায়। হায় রে এ যেন ক্লোজ-ডোর ম্যাচ হচ্ছে। বাংলার জেলা ফুটবলের এ কোন চিত্র সরাসরি দেখানো হচ্ছে? সারা দেশে আইএফএ পরিচালিত লিগের এমন দৈন্যদশা ফুটে উঠছে? স্থানীয় সংগঠকরা মাঠে কিছু ফুটবলপ্রেমীদের নিয়ে আসতে পারছেন না? রবিরার দিনের বেলায় এমন চিত্র।
এদিকে গত শনিবার রাতের খেলায় নৈহাটি স্টেডিয়ামে আর এক দৈন্যদশা ফুটে উঠলো। পুরো ম্যাচে মাঠের চারটে বাতিস্তম্ভের সবকটা আলো জ্বললোই না। দ্বিতীয় পর্বে একসময় বাতিস্তম্ভের সব আলোই নিভে গেল। প্রায় ১৩ মিনিট খেলা বন্ধ রইল। কলকাতা লিগ জুড়ে একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারদের দিয়ে ধারাবাহিক প্রচার হলো। টিমের মালিকদের নিয়ে নামী হোটেলে সভা করা হয়েছে।
Advertisement
জার্মানির বিশ্বকাপার লোয়ার ম্যাথিউসকে বেঙ্গল সুপার লিগে যুক্ত করা হলো। এত জাঁকজমক করে অনুষ্ঠান হয়ে গেল। স্থানীয় সংগঠকদের তবে ভূমিকা কী থাকছে? বোলপুর, মেদিনীপুর, মালদা, শিলিগুড়ি— সর্বত্র মাঠের দর্শক সংখ্যার একই হাল। তিন ভাগের একভাগ ম্যাচ হতে চললো— ফুটবল মাঠের মতো লিগের অধিকাংশ দলের পারফরম্যান্স চিত্র একই থেকেছে। জেএইচআর রয়্যাল সিটি ছাড়া বলার মত টিম পারফরম্যান্স কারোর নেই।
Advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার ও হাওড়া হুগলির ধারাবাহিকতা নেই। সুন্দরবন বেঙ্গল অটো এখনও লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে অবাক করছে। ৮টা টিমের মধ্যে ৪টে টিমের পারফরম্যান্স কলকাতা লিগের প্রথম বিভাগের খেলাকে লজ্জা দেবে। বিদেশি ও ভিন্রাজ্যের ফুটবলাররা এই লিগে খেলছে। রয়্যাল সিটির জোটা ছাড়া কেউ এখনও নজর কাড়েননি। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের পরিচিতি রবি হাঁসদারা প্রত্যেক দলকে টানছেন। একদিকে প্রায় দর্শকশূন্য মাঠে খেলা, অপরদিকে কলকাতা লিগের পরিচিত ফুটবলারদের দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া— বেঙ্গল সুপার লিগের বিশেষত্ব কোথায় থাকছে? এই হাস্যকর ফুটবল থেকে আইএফএ কী বার্তা দেবে? ফুটবলের শহর কলকাতা অপেক্ষায় রইল।
Advertisement



