• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

বাংলার জয় অধরাই থেকে গেল

কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে

রঞ্জি ট্রফি। প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

না, হল না! সরাসরি জয় পাওয়া থেকে বাংলাকে পিছিয়ে পড়তে হল। শনিবার রঞ্জি ট্রফির খেলায় চতুর্থ দিনের শেষে কর্ণাটকের সঙ্গে বাংলা ড্র করল। যার ফলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল। তাই নকআউট পর্যায়ের খেলায় এখনও সংশয় থেকে গেল বাংলার। পরের রাউন্ডে খেলতে হলে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল বাংলার। এমনকি প্রথম ইনিংসে বাংলা দল ৮০ রানে লিড নিয়েছিল কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। যার ফলে ৩ পয়েন্ট আসাটা স্বাভাবিকই ছিল।

অথচ চিন্নাস্বামীতে তৃতীয় দিনের শেষে ‘অ্যাডভান্টেজ’ ছিল অনুষ্টুপ মজুমদারদের। আশা করা গিয়েছিল চতুর্থ দিনে ময়ঙ্ক আগরওয়ালদের সামনে পর্যাপ্ত লক্ষ্য রেখে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে বাংলা দল। সুদীপকুমার ঘরামির সেঞ্চুরির দৌলতে বড় রান তুলেও শেষরক্ষা হল না। বরং আরও একটু ঝুঁকি নিয়ে কেন তাড়াতাড়ি ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেওয়া হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত বাংলা থামে ৩০১ রানে। বল হাতে বাংলাকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন সুরজ সিন্ধু, ঈশান পোড়েলরা। বিশেষ করে ঈশানের দুরন্ত বোলিংয়ের শিকার অভিনব মনোহর, শ্রেয়স গোপালরা। তিনি তোলেন ৪ উইকেট। কর্ণাটকের ইনিংস থামে ২২১ রানে। বাংলা এগিয়েছিল ৮০ রানে। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে লিড থাকার সৌজন্যে ৩ পয়েন্টও নিশ্চিত হয়ে যায় অনুষ্টুপদের।

তৃতীয় দিনের শেষে শেষে বাংলার রান ৩ উইকেট হারিয়ে ছিল ১২৭। এগিয়ে ছিল ২০৭ রানে। অবশেষে চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলা। লাঞ্চের পরও ব্যাট চালিয়ে যান সুদীপকুমার ঘরামিরা। তিনি করেন ১০১ রান। ঋদ্ধিমান সাহা অপরাজিত থাকেন ৬৩ রানে। কর্নাটকের জন্য ৩৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলা।

বল হাতে অবশ্য জয়ের আশা দেখিয়ে ছিলেন সুরজ সিন্ধু। দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর আর কোনও পার্থক্য গড়া যায়নি। কর্ণাটক ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১১০ রান। এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের সুবাদে বাংলার মোট পয়েন্ট দাঁড়াল ৮। এলিট সি-র টেবিলে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ফলে জয়ের জন্য পুরোপুরি না ঝাঁপানোর খেসারত দিতে হল বাংলাকে। রঞ্জিতে পরবর্তী ধাপে খেলতে গেলে বাংলাকে চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বাংলাকে পরের ম্যাচ খেলতে হবে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা আশা করেছিলেন এই ম্যাচ থেকে যদি ৭ পয়েন্ট বাংলার ঘরে আসত, তাহলে আগামী ম্যাচে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার সুযোগ থাকত।