রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে অসমের বিপক্ষে সাত পয়েন্ট তুলে নিতে ব্যর্থ হল অভিমন্যু ঈশ্বরনের সাতজন ক্রিকেটারকে আউট করা। কল্যাণীতে সারাদিন চেষ্টা করেও বাংলা সেই বাজিমাত করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত মহম্মদ শামি, ঈশান পোড়েল, সুরয সিন্ধু জয়সওয়াল ও রাহুল প্রসাদরা অসম শিবিরে আঘাত হানতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত বাংলাকে তিন পয়েন্ট নি সন্তুষ্ট থাকতে হল। খেলা আমিমাংসীতভাবে শেষ হল। বরঞ্চ অসমের ক্রিকেটাররা দুরন্ত লড়াই করে ম্যাচ ড্র করল। যেহেতু প্রথম ইনিংসে বাংলা এগিয়ে থাকাতে তিন পয়েন্ট পেয়েছে। আর অসমের ঘরে জমা পড়ল এক পয়েন্ট।
তবে বুধবারের এই খেলায় পিচ ও আম্পায়ারদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলা শিবির। যেভাবে কয়েকদিন আগে ইডেন উদ্যানে জাতীয় দল জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই আশা নস্যাৎ করে দিয়ে দক্ষিণ অফ্রিকা ম্যাচ জিতে যায় ভারতের বিপক্ষে। ঠিক অনেকটা তৃতীয় দিনের শেষে বাংলা যে জায়গায় দাঁড়িয়েছিল তাতে ম্যাচ জেতাটা আশা করাই যেতে পারে। কিন্তু তা হল না। বাংলার জয়ের পিছনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল কল্যাণীতে পিচ। সাদা ফ্যাটফ্যাটে উইকেটে বোলাররা কখনই বাড়তি সুবিধা পান না। তবে সকালের দিকে ইউকেটে আর্দ্রতা ছিল বলে পেসাররা বল করতে গিয়ে কোনও চাপ ছিল না। উইকেটে অনেক সময় বল লাফাচ্ছিল। আবার কখনও উইকেটে বল পড়লে মন্থর হয়ে যাচ্ছিল। তবে শামি নিজের দক্ষতায় কিছু সুবিধা পেলেও অন্যরা কিছুই করতে পারেননি। তাই ম্যাচ শেষ হয়োর পরে উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলা শিবিরের খেলোয়াড়রা।
Advertisement
তবে ম্যাচের শেষ দিনে অসমের সাহসী ব্যাটিংকে তারিফ করতে হবে। বিশেষ করে মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করে গেলেন তা অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। অসমের চতুর্থ উইকেট জুটিতে দেনিশ দাস ও সুমিত ঘাদি গাওস্কর ৯০ রান যোগ করেন অসমের স্কোরবোর্ডে। দেনিশ ৭০ ও সুমিত ৬৭ রান করে দৃঢ়তার পরিচয় দেয় খেলার ১৩ ওভারের মাথায় দেনিশ আউট হয়ে যাওয়ার পরে ঈশান পোড়েলরা ভেবেছিলেন বাংলার জয় আসতে পারে। তারপরে ছয় নম্বরে অসমের শিবশঙ্কর রায় দারু্ন ব্যাট করে অর্ধশত রান করার কৃতিত্ব দেখাল অসমের প্রতিদা ব্যাটসম্যান নিজেদের উতপ আস্থা রেখে বাংলার বোলারদের সঙ্গে মোকাবিলপা করছিলেন।
Advertisement
ঋতুরাজ বিশ্বাস থেকে শুরু করে আকাশ সেনগুপ্ত ও আয়ুষ্মান মালাকাররা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে উইকেটে ব্যাট করেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আকাশ সেনগুপ্ত ও আয়ুষ্মান মালাকারের উইকেট দগুটি শাহবাজ আহমেদ তুলে নেন। এমনকী অসমের নয় নম্বরে খেলতে আসা আবদুল অজ্জিত ২৪ টা বল খেললেন। তাঁর ব্যাটে আসে ১১ রান। মুখতার হোসেন কোনও রান না করে নট আউট থাকেন। অসমের বিরুদ্ধে এদিন শাহবাজ আহমেদ ছাড়া সেইভাবে প্রত্যাশার মতন বল করতে পারেননি।। এর আগে বাংলা দল ত্রিপুরার সঙ্গে লড়াই করে সরাসরি জিততে পারেনি। আর এবারে অসমের সঙ্গে খেলায় তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল বাংলা ক্রিকেট দলকে।
Advertisement



