নিজের উদাহরণ টেনে ঘুরিয়ে বাবরের সমর্থন বিরাটকে

Written by SNS April 9, 2024 1:06 pm

স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর উদ্যোগ দেখেননি জাদেজা

দিল্লি– জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারার পর আরসিবি-র প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে৷ বলা হচ্ছে, স্ট্রাইক রেট বাডি়য়ে দলের রানকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বিরাটের মধ্যে৷ তাই আরসিবি ১৮৩ রানে আটকে যায় এবং শেষপর্যন্ত ম্যাচও হারে৷

সোজাসুজি না বলে ঘুরিয়ে বিরাটকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা হচ্ছে আর কি৷ অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংসটি নাকি নিজের রানকে বাডি়য়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়৷ দলের কথা একবারও ভাবেননি তিনি৷ এ নিয়ে কথা জয়পুরের ম্যাচের পর থেকে শুরু হয়ে যায়৷ সেই আলোচনায় জল ঢেলে দিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম৷ তিনি সোজাসুজি বিরাট নিয়ে কোন কথা বলেননি৷ নিজের উদাহরণ সামনে এনে ঘুরিয়ে বিরাটের অবস্থার কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ বাবর কি বলছেন তা একবার শুনে নেওয়া যেতে পারে৷

কী বলছেন বাবর! তিনি বলছেন, আমি বুঝতে পারি না লোকে কেন আমার ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইক রেট নিয়ে পডে় থাকেন৷ তাঁরা কি বলতে চান সব ম্যাচে ২০০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলতে হবে৷ এটা শুধু কথার কথা নয়৷ আমার কেরিয়ারে কতজন কত কথা বললেন৷ কখনও তাঁরা বলেন ১৭০ স্ট্রাইক রেট রেখে খেলতে হবে৷ যখন আমি হয়তো ১৫০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলছি৷ আবার ১৭০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেললে বলা হয় এটা ২০০ করা উচিত ছিল৷ বুঝতে হবে প্রত্যেক ক্রিকেটারের নিজস্ব একটা স্টাইল থাকে৷ সে সেভাবে খেলে৷ আমি নিজেকে কারোর সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না৷

নিজের কেরিয়ারে বাবর অনেক আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলে দেশকে জিতিয়েছেন৷ তাঁর কেরিয়ারের স্ট্রাইক রেট ১৩০৷ তাই হয়তো সমালোচকরা ম্যাচ হারলে এমন সব কথা সামনে টেনে আনেন৷ বাবর বলছেন, ম্যাচ জিতলে কিন্ত্ত এত সব কথা সামনে আসে না৷ আপনি যখন ম্যাচ হারবেন তখনই নানা দিক থেকে প্রায় সাঁড়াশি আক্রমন শুরু হয়ে যাবে৷ এটা অনেকের ক্ষেত্রে হয়৷ তখন তাঁরা দেখেন না গোটা ইনিংসে আপনি কী করেছেন৷ কত রান করলেন৷ অন্যরা কি করেছে৷ না, এসব কোনওকিছু বিচার করা হয় না৷ টার্গেট শুধু আপনি৷ আপনাকে নিয়ে কথা চলতে থাকবে৷

জালমি টিভির পডকাস্টে এ সব কথা বলেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক৷ তিনি হয়তো তারা আগে শুনে নিয়েছেন আইপিএলে বিরাট কোহলিকে নিয়ে কী সব চলছে৷ বলাা হচ্ছে, ১৫৮ স্টাইক রেট রেখে খেলে বিরাট দলকে চাপে ফেলেছে৷ এটা অনেক বাডি়য়ে নেওয়া যেত৷ তা হলে আরসিবি হয়তো দুশো পার করে থামত৷ সেটা বিরাটের জন্য হয়নি৷

এমন প্রশ্নের মাঝে বিরাট কি বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, উইকেট কখনই স্ট্রোক প্লেয়ারদের জন্য আদর্শ ছিল না৷ টু পেস উইকেটে শট খেলা কঠিন হয়ে পডে়৷ আর আমি অত বেশি আক্রমনাত্মক হতেও পারব না৷ সেটা করতে গিয়ে উইকেট চলে গেলে সমস্যা হত৷ আমি আর ডুপ্লেসি যখন খেলছিলাম, তখন মনে হয়েছিল রানটা ১৯০-১৯৫ পর্যন্ত চলে যাবে৷ সেটা না হয়ে আমরা থেমে যাই ১৮৩ রানে৷ তাই আমাদের টার্গেট থেকে ১০-১২ রান কম৷ তার জন্য ম্যাচ হেরেছি এটা মানতে অসুবিধা হয়৷ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটাই বলতে পারি, পরিস্থিতি দেখে, উইকেটে অবস্থা বিচার করে আমি খেলার চেষ্টা করি৷ সেই সময় আমাদের বেশ কয়েকটি উইকেট চলে গিয়েছিল৷ তাই নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে আউট হয়ে গেলে ম্যাচ কঠিন হত৷

বিরাটের এই যুক্তি অবশ্য মানতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার অজয় জাদেজা৷ তিনি বলছেন, বিরাট শুরুটা খারাপ করেনি৷ বেশ কয়েকটি বাউন্ডারিও পেয়ে যায়৷ ৩৯ বল খেলে ৫০ করে ফেলে৷ তারপর নিজেকে খোলস ছেডে় বের করে আনা উচিত ছিল৷ সেটা কেন মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে না৷ তখন ডুপ্লেসি উইকেটে ছিল৷ নিজে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারত৷ কিন্ত্ত বিরাটকে একবারও তা করতে দেখিনি৷ ওর উল্টোদিকে আসা যাওয়ার খেলা চলছিল৷ সেই সব দেখে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ একা বিরাট না টানলে কে টানবে৷ এখানেই অবাক লাগছে৷