এ কি কাণ্ড! আইপিএল টিকিট নিয়ে দুর্নীতি! তাও আবার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি এ জগন মোহন রাওয়ের বিরুদ্ধে! শুধু অভিযোগ নয়, দুর্নীতির দায়ে সিআইডি সভাপতি জগনমোহন রাওকে গ্রেপ্তার করেছে। সভাপতির পাশে আরও চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজের রাজ্যের এই অবস্থা দ্খে হতবাক ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি দারুণভাবে ক্ষুব্ধ। তিনি অতীতে এই সংস্থার সভাপতি ছিলেন।
মহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, আইপিএল ক্রিকেটে টিকিট কেলেঙ্কারি এবং হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার আরও দুর্নীতি দেখে অবাক হতে হচ্ছে। আমি ব্যথিত। এই সমস্ত কর্মকর্তারা কীভাবে প্রশাসনে থাকেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে সব দায় নিতে হবে এইসব কর্মকর্তাদের। তিনি আরও বলেন, আমি চাই দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরে এই কমিটিকে বাতিল করে দেওয়া হোক। প্রশাসনে যদি স্বচ্ছতা না থাকে, তাহলে কোনও সংস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ক্রিকেট সম্মান যেভাবে নষ্ট হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাইব পুরনো সম্মান ফিরিয়ে আনার।
Advertisement
সভাপতি ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ সি শ্রীনিবাস রাও, সিইও সুনীল কান্তে, সচিব রাজেন্দ্র যাদব এবং তাঁর স্ত্রী জি কবিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, আর্থিক দুর্নীতি এবং টিকিট নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
প্রথমে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন তেলেঙ্গানা ক্রিকেট সংস্থার সচিব ধরম গুরাভা রেড্ডি। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, অসত্য তথ্য দিয়ে নির্বাচনে জিতেছেন জগনমোহন। আইপিএল চলাকালীনই টিকিট কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে।
হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা আইপিএলে সানরাইজার্স দলের কাছ থেকে চাপ দিয়ে নির্দিষ্ট টিকিটের বাইরে বিনামূল্যে আরও টিকিট চাওয়া হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী মোট আসন সংখ্যার ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৯০০ টিকিট পাওয়ার কথা। কিন্তু তার থেকেও অধিক সংখ্যক টিকিট দাবি করা হয়েছিল।
সানরাইজার্স দল ততে রাজি না হওয়ায় ২৭ মার্চ লখনউ ম্যাচের আগে একটি কর্পোরেট বক্স বন্ধ করে দেয়। সেই মুহূর্তে ২০টি টিকিট চাওয়া হয়েছে। এর ফলে বোর্ডের সঙ্গে যে চুক্তি, তা লঙ্ঘিত হয়েছে। হায়দরাবাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সমস্যা তৈরি হয়। সেই টিকিট বেনিয়মে নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়।
Advertisement



