মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া শান্তিবার্তার ঘন্টা ছয়েকের মধ্যে অশান্ত হয়ে উঠলো দিনহাটার হরিরহাট গ্রাম

Written by SNS April 14, 2024 3:33 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার, ১৩ এপ্রিল— দিনহাটার সংহতি ময়দানের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের আগে উদয়ন গুহ সহ দলের নেতা কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দেন৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের প্রতি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়ার ঘন্টা ছয়েকের মধ্যেই দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম গিতালদহের হরিরহাটে বামফ্রন্টের এক পথসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় অভিযোগ ওঠে৷ পথসভা চলাকালীনই এই হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় বামফ্রন্টের নেতা,কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে৷ প্রাক্তন সাংসদ ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নৃপেন রায় যখন ওই পথসভায় ভাষণ রাখছিলেন সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ৷ ঘটনার পরপরই বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলী এই আক্রমণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দিনহাটা থানা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ জানায়৷ এরপর শনিবার সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অক্ষয় ঠাকুর, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নৃপেন রায়, আব্দুর রউফ, আজগর আলী ব্যাপারী, সিপিএমের মহানন্দ সাহা, শুভ্রালোক দাস, এনদাদুল হক্ প্রমুখ বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ হরিরহাট বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন৷ এরপর তারা দিনহাটা থানার আইসির সাথে দেখা করে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান৷

এখানে উল্লেখ্য, ঘটনায় জডি়ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ শুক্রবার দিনহাটার সংহতি ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা ভিডে় ঠাসা এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণের শুরুতেই সংখ্যালঘুদের প্রতি ঈদ মোবারক এবং অন্যান্যদের শুভ নববর্ষ জানান৷ এরপরই তার ভাষণ এগিয়ে চলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায়৷ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বসে থাকা দিনহাটার বিধায়ক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ দলের অন্যান্য নেতাদের নির্বাচনের আগে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন৷ এদিন মূলত উদয়ন গুহকে নিশানা করে দলের সুপ্রিমো বি কুল, কুল, কুল অর্থাৎ মাথা শান্ত রাখার জন্য বলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী এভাবে শান্ত থাকার কথা বললেও তার বক্তব্যের ঘন্টা কয়েক পরেই বামফ্রন্টের পথসভার উপর আক্রমণ নেমে আসায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, দলের নিচু চলার নেতাদের প্রতি সুপ্রিমোর রাশ কি ক্রমশঃ আলগা হয়ে আসছে?