চোরাচালানের আর্থিক লেনদেনের গোলমালের জেরে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ?

Written by SNS May 23, 2024 6:15 pm

কলকাতা, ২৩ মে:  গোয়েন্দাদের পরিভাষায়, কোনও খুনের কিনারা করতে খুন হওয়া ব্যক্তির অতীত ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসে তাঁর খুনের রহস্য। বিশেষত তাঁর কর্ম জীবন এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকে খুনের রহস্য। তাঁর ব্যক্তিগত চরিত্রের ভালো মন্দ, তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়, তাঁর কর্মজীবন যেকোনও বিষয়ে স্বার্থগত সংঘাত শুরু হলে খুনের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার খুনের পিছনেও এরকমই কিছু সম্ভাব্য দিক উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, একসময়ে অপরাধীদের গড ফাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাংসদ। হুন্ডির কারবার, চোরাচালান, অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে আনোয়ারুল আজিমের। ২০০৬ সাল অবধি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগে ইন্টারপোলের নোটিস জারি হয়। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতেই তাঁর নাম সেই নোটিস থেকে বাদ যায়। ২০১৪ সালে তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পরপর তিনবার তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ হন। এর আগে বাংলাদেশের পুলিশের খাতায় আনওয়ারুল-এর বিরুদ্ধে ২৪ মামলা ছিল। তবে সেই মামলা রাজনৈতিক কিনা সেবিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত আনোয়ারুলের বাড়ি রানাঘাটের গেদে সীমান্তের ঠিক উল্টো দিকে। এই সীমান্ত পার হলেই বাংলাদেশের ঝিনাইদহ। সেখানে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ তিনি। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক সময়ে বনগাঁর ওপারে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই আনোয়ারুল আজিম আনার। সেই সময় থেকে চোরাচালানের স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে চোরা কারবারের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বন্ধত্বও গড়ে ওঠে বলে দাবি করা হয়েছে।

একটা সময়ে বনগাঁর ওপারে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই আনোয়ারুল। প্রশাসনের সঙ্গেও যোগ ছিল তাঁর। ওদেশের পুলিশের সঙ্গে ‘টোকেন চুক্তি’ ছিল তার। এভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন আনোয়ারুল। এই খুনের মূল পান্ডার সঙ্গে সেই চোরাকারবারের লেনদেন সংক্রান্ত গোলমালের জেরেই আনোয়ারুল খুন হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সোনার কারবার নিয়ে আর্থিক লেনদেনে এই গোলমাল বাধে বলে সূত্রের দাবি। তবে বিষয়গুলি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। বিষয়টি এখনও দুই দেশের গোয়েন্দাদের আতস কাঁচের তলায় রয়েছে।