গাড়িতে হামলা, প্রতিবাদী সৌমেন, ত্রিপুরায় সরকার পাল্টে দেব : অভিষেক

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তৃণমূল নেতাদের রাজ্যে আগমনে বলেছিলেন, “ত্রিপুরার মানুষ অতিথি দেব ভবঃ সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন। তাই এখানে সবাই স্বাগত।”

Written by SNS Agartala | August 3, 2021 12:32 pm

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: SNS)

দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তৃণমূল নেতাদের রাজ্যে আগমন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “ত্রিপুরার মানুষ অতিথি দেব ভবঃ সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন। তাই এখানে সবাই স্বাগত।” এবার তাঁর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বলেন , ক’দিন আগেই বলেছিলেন অতিথি দেব ভবঃ। এখন হামলা। ত্রিপুরার মানুষ এর বিচার করবে। প্রতিক্রিয়া জানানাের পর ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো সেরে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে গলা ফাটাচ্ছেন গণতন্ত্র নেই বলে।

কিন্তু তাঁরা আগে ত্রিপুরায় এসে দেখুন, কোথায় গণতন্ত্র নেই। তারপর বাংলা নিয়ে কথা বলবেন।’ মন্দিরে যাওয়ার পথেও বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে রাস্তায় বেশ কয়েকবার দাঁড়াতে হয় তাঁর কনভয়কে।

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পেয়ে উজ্জীবিত তৃণমূল সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব বাড়াতে চায়। তার প্রধান লক্ষ্য হিসাবে ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভার ভােটকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই ভােটকুশলী প্রশান্ত কিশােৱের আইপ্যাক টিমকে সমন পাঠিয়ে ঘরকন্দী করার চেস্টা রেখেছিল ত্রিপুরার পুলিশ ও প্রশাসন। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে তা হয়নি। দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়বে তৃণমূল ত্রিপুরার মাটিতে পা রেখেই হুংকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসার পর ভিনরাজ্যে সফর হিসাবে এটি প্রথম। এদিন তিনি বলেন–ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা নয়, বাইক বাহিনী নয়। দুয়ারে সরকার পৌঁছে দেবে তৃণমুল। পাশাপাশি এও বলেন-ধমকে চমকে লাভ হবেনা। দিল্লি গুজরাট থেকে ত্রিপুরার সরকার চলছে।

এর থেকে ২০১৬ সালের মানিকবাবুর বামফ্রন্ট সরকার ভালাে ছিল। বাংলা যখন পেরেছে ত্রিপুরাও পারবে বলে আশাবাদী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বিধানসভা ভােটপূর্ব মিটে যাওয়ার পর মূল ফোকাস এখা ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভার নির্বাচন।

ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখার পরেই অভিষেককে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি সহ গাড়িতে হামলা পর্যন্ত হয়েছে। যা নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতি সরগরম বলা যায়। আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “আমি এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি।

এটাই বিজেপির চরিত্র। এরা কোনও রাজ্যে জনগণকে সুস্থ পরিষেবা দেওয়ার বিরােধী। এরা সন্ত্রাসবাদী দল এরা উগ্রপন্থী দল। জনহিতকর কাজের থেকে জনগণের ক্ষতি করার জন্য যা যা করার তাই করে এরা সমাজের সর্বত্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

অভিষেক হলেন আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ সাংসদ। বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই তারা আমাদের তরুণ সাংসদের উপর হামলা করেছে। এইসব দিয়ে তাঁর গতিপথকে রােধ করা যাবে না। হাজার হাজার তৃণমূলের সৈনিক তাঁর সাথে আছে।

এইরকম জঘন্য ঘটনার জন্য ধিক্কার জানাচ্ছি। ত্রিপুরার জনগণও তৈরি আছে বিজেপিকে উচিত। শিক্ষা দেওয়ার জন্য। পশ্চিমবাংলাবাসী ইতিমধ্যেই শিক্ষা দিয়েছে। সেটা ওলের ভাবা উচিত। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও ধিক্কার জানাচ্ছি।’