নিজস্ব প্রতিনিধি— মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলায় উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এ নিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের বড় অংশ৷ বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা৷ এই ঘটনার পর জেলায় বাম-কংগ্রেসের নিচু স্তরে নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন কি না? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এহেন পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, জোট ভাঙলে ভাঙুক! তাঁর দাবি, ভগবানগোলার প্রার্থী ঠিক করেছেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব৷ এতে প্রদেশ কংগ্রেসের কিছু করার ছিল না৷ অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাইলেন না জেলা সিপিএম নেতৃত্ব৷ শুধু তা-ই নয়, উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দলের একাংশের বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তাঁরা৷
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও কিছু আসনে বিধানসভার উপনির্বাচনও হবে৷ পশ্চিমবঙ্গেরই যেমন ভগবানগোলা ও বরানগর আসনে উপনির্বাচন রয়েছে৷ গত রবিবার ভগবানগোলা উপনির্বাচনে অঞ্জু বেগমকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস৷ স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, এর পরেই স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেন৷ বিক্ষোভ শুরু করেন৷ কেন কংগ্রেস আচমকা প্রার্থী ঘোষণা করে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিএম কর্মীদের একাংশের দাবি, উপনির্বাচনে বামফ্রন্টকেও প্রার্থী দিতে হবে৷ এই মর্মে সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করা হয়৷ সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের দাবি, একমাত্র মুর্শিদাবাদেই লড়াই করছে বামেরা৷ বাকি কংগ্রেস আসনে লড়ছে৷ স্থানীয় বাম কর্মীরা বলেন, মুর্শিদাবাদে শুধুমাত্র একটি আসনে ভোটে লড়ছে বামেরা৷ ভগবানগোলা কেন্দ্রে গতবার প্রার্থী ছিল বামেদের৷ হঠাৎ করে এই আসন কেন কংগ্রেসকে ছেডে় দেওয়া হবে, আমরা বুঝতে পারছি না৷ আমরা কোনওভাবে কংগ্রেস প্রার্থীকে মানব না৷ এ প্রসঙ্গে সোমবার অধীর বলেন, জোট যদি ভাঙে, ভেঙে যাক৷ যা হয়েছে উপর থেকে হয়েছে৷ আমরা কিছু করিনি৷ এ ব্যাপারে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের দলের জোট অটুট রয়েছে৷ কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের কেউ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলেই মানতে চাইছেন না জামির৷ তিনি বলেন, কোথায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে, পারলে ছবি দেখান৷ সিপিএমের কেউ কোথাও বিক্ষোভ দেখায়নি৷ এই নিয়ে জেলা রাজনীতিতে চলছে তুমুল মতান্তর৷
