আগামী মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের মতাে তামিলনাড়ুতেও বিধানসভা ভােট হতে চলেছে। ফলে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে জল্পনা ছিল শাসক দল এডিএমকে কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করবে। এই নিয়ে জোরদার জল্পনাও শুরু হয়েছিল। দলের অভ্যন্তরেও চলেছিল টানাপােড়েন।
অবশেষে বুধবার পালানিস্বামীর নামে সিলমােহর দেওয়া হয়। দলের অভ্যন্তরে দুটি নাম নিয়ে টানাপােড়েন চলছিল। একটি হল পালানিস্বামী, অন্যটি হল পনিরসেলভাম। এদিন পনিরসেলভ মি ঘােষণা করেন, দল জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন পালানিস্বামী। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ১১ জনের একটি স্টিয়ারিং কমিটি এডিএমকে পরিচালনা করবে । দল চলবে যৌথ নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে।
Advertisement
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করার জন্য এডিএমকে নেতারা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠক চলে রাত সাড়ে ৩ টে পর্যন্ত। ম্যারাথন এই বৈঠকের পর এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘােষণা করা হয়।
Advertisement
২০১৬ সালে এডিএমকে-র শীর্ষ নেত্রী জয়ললিতা মারা যান। এরপর জয়ললিতার বান্ধবী শশীকলা দুর্নীতির অভিযােগে গ্রেফতার হন। আগামী জানুয়ারি মাসের আগে তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শশীকলা এডিএমকে তে পনিরসেলভামনের বিলোধী গােষ্ঠীর নেত্রী ছিলেন। ফলে শশীকলা যদি ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন, তাহলে এই দুই নেতা রাজনৈতিকভাবে বিপাকে পড়তে পারেন।
সবদিক মাথায় রেখেই পালানিস্বামী এবং পনিরসেলভাম নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। যদিও আগস্ট মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পােস্টার দিয়ে বলা হয় পনিরসেলভাম এবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, তিনিই হচ্ছেন এডিএমকের মুখ। এরপরই পালানিস্বামী, পনিরসেলভাম ও শীর্ষস্থানীয় আরও অন্য মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন।
পরে এই দুজন যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানান, দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি তারা গণতান্ত্রিকভাবেই এতদিন নিয়ে এসেছেন। আগামী দিনেও এই পথেই তারা হাটবেন। প্রকাশ্যে কেউ যাতে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ না করেন, তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সময় বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কর্মীদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই দল সিদ্ধান্ত নেবে।
Advertisement



