• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

দিল্লি যাচ্ছেন অধীর

কুশলকুমার বাগচী বহরমপুর, ৭ জুন– প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী পরাজিত হওয়ার পরে তার সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে একটা মাধ্যম থেকে প্রচার চলছে৷ কিন্ত্ত সেই দাবি উডি়য়ে দিলেন খোদ অধীর৷ তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁর সঙ্গে দলের কোনোরকম দূরত্ব তৈরি হয়নি৷ এ জাতীয় গুজব বাজারে ছড়ানো হচ্ছে৷ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন

কুশলকুমার বাগচী

বহরমপুর, ৭ জুন– প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী পরাজিত হওয়ার পরে তার সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে একটা মাধ্যম থেকে প্রচার চলছে৷ কিন্ত্ত সেই দাবি উডি়য়ে দিলেন খোদ অধীর৷ তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁর সঙ্গে দলের কোনোরকম দূরত্ব তৈরি হয়নি৷ এ জাতীয় গুজব বাজারে ছড়ানো হচ্ছে৷ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে ফোন করেছিলেন, তিনি আজই দিল্লিতে যাওয়ার জন্য রওনা দেবেন৷ সেখানে সিডাব্লুসি-এর বৈঠকে যোগ দেবেন৷ কারণ তিনি এই কমিটির সদস্য৷

এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন৷ সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এটা প্রচার চলছে, আপনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেডে় দিয়েছেন, তাই আপনাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে৷ উত্তরে তিনি বলেন, “কোথায় কে কি বলছে, তার উত্তর দেওয়ার মতো আমি যোগ্য তো নই৷ দিল্লিতে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, কারণ আমি সিডাব্লুসি-এর সদস্য৷ আগামীকাল এই কমিটির বর্ধিত সভা রয়েছে৷ সেজন্য দিল্লি থেকে ডাক এসেছে৷ মল্লিকার্জুন খাড়গে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন৷ জানি না কারা কি কারণে নিজেদের ইচ্ছা মতো ঘটনা তৈরি করে প্রচার শুরু করে৷” তিনি আরও বলেন, “দিল্লি থেকে বার্তা কেন আসবে না? আমি তো পার্টিরই আছি৷ আগামীকাল সিডাব্লুসি-এর মিটিং আছে৷ সেখানে অংশ নিতে যাচ্ছি৷ সেজন্য আমাকে দিল্লি থেকে ডাকা হয়েছে৷ আমি ওই কমিটির সদস্যও৷ সেই সঙ্গে গতকাল মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন৷ আমার সঙ্গে দলের কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি৷ এ জাতীয় বেকার একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ উল্টো-পাল্টা কি বলা হচ্ছে, আমার জানা নেই৷ আজ আমি দিল্লি যাচ্ছি এবং সিডাব্লুসি-এর বৈঠকে যোগ দেবো৷”

স্যোসাল মিডিয়ায় ট্রেণ্ড বা চর্চা আছে গোটা ভারতবর্ষের নিরিখে অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিম এবং কানহাইয়া কুমারের মতো সাংসদরা রয়েছেন, তাদের অবশ্যই লোকসভায় পাঠানো উচিত ছিল এবং এদের বিকল্প নেই৷ এই প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, “এ নিয়ে আমার কি বলার আছে৷ মানুষ ভোট দেয়নি৷ ব্যস৷ হেরেছি, এরপরে আর কোনো কথা থাকে না৷” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বহরমপুর কেন্দ্রে অধীর চৌধুরীর পরিবর্তে কোনো মুসলিম প্রার্থী দিলে জিতে যেত৷ উত্তরে তিনি বলেন, “হতে পারত৷ জানি না৷ আমি যেহেতু রানিং সাংসদ তাই বহরমপুর কেন্দ্রে আমাকে প্রার্থী করেছে৷” ভরতপুর ২ ব্লকের সালারে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে কারণ সেই এলাকায় কংগ্রেস এবং বিজেপি ভালো ভোট পেয়েছে৷ সাংবাদিকরা বিষয়টি অধীর চৌধুরীকে বললে, তিনি উত্তরে বলেন, “এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য৷ দিদি এত কিছু পেয়েও খুশি নয়৷ এবার মারতে আরম্ভ করে দিয়েছে৷ আমি তো সেটাই বলেছিলাম৷ বাংলায় সব কিছু হল৷ এবার হিংসাটা বন্ধ হোক৷ ভোট তো হল৷ আপনি তো জিতলেন৷ এখন দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন, খোকাবাবু মুখ্যমন্ত্রী হবেন তার প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আর কি চাই আপনার৷ এরপরে সাধারণ ভোটার এবং কর্মীদের উপরে হামলা করে কি লাভ আছে আপনার? আমাদের কর্মী তারা৷ আমাদের পার্টির লোক৷ তাদের উপরে হামলা করার আগে আমাদের জেলে ভরে দিন৷ মিটে গেল ঝামেলা৷”

ভোট চলাকালীন অধীর চৌধুরী বিভিন্ন সভায় বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে প্রচার করছে, এবার দাদাকে (অধীর চৌধুরী) নয়, ভাইকে (ইউসুফ পাঠান) ভোট দিও৷ এ নিয়ে এদিন তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, উত্তরে অধীরবাবু বলেন, “ওরা যেটা বলেছিল, সেটাই বলেছি৷ প্রচার চলাকালীন নানারকম কলা-কৌশল গ্রহণ করা হয়ে থাকে৷ দিদির কৌশল এটাই ছিল, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করা৷ কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রে জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ মুসলিম৷