প্রথমে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ। বাড়িতে ধর্ষণের কথা জানালে নির্যাতিতার বাবা-মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ে নির্যাতিতা নাবালিকা। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে নাবালিকা। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনা। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় গোবরডাঙা থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুনীল রায় (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে করানো হয়েছে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষাও।
পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তরুণীর। তারপর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই উঠে আসে ধর্ষণের ঘটনা। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতো অভিযুক্ত সুনীল রায়। নাবালিকা অন্তঃসত্বা হয়ে পড়তেই বেরিয়ে আসে সত্য। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে তোলা হয় বারাসাত আদালতে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক তরুণী চিকিৎসককে। তারপর থেকে পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও ঠেকানো যায়নি ধর্ষণ। সম্প্রতি ঠিক একই ভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের এক নাবালিকা। ধর্ষণ করে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যার ভিত্তিতে অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নেপাল সীমান্ত থেকে।