সমালোচনার পর কসবা কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সাব ইন্সপেক্টর রিটন দাসকে সরিয়ে দিয়েছে লালবাজার। তাঁর পরিবর্তে এ বার এই ঘটনার তদন্ত করবেন সাব ইনস্পেক্টর সঞ্জয় সিংহ। তিনি কসবা থানাতেই কর্মরত রয়েছেন।
গত বুধবার যোগ্য চাকরিহারাদের অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কসবার ডিআই অফিসে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) দেখা গিয়েছে, এসআই রিটন দাস এক আন্দোলনকারীর পেটে লাথি মারছেন। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এ বিষয়ে বলেন, পুলিশের লাথি মারার ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। তবে পুলিশের অভিযোগ, প্রথমে বিক্ষোভকারীরাই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সেই কারণে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ডিআই নিজে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে একটি এফআইআর হয়েছে। শুক্রবার সকালে জানা যায়, সেই তদন্তের দায়িত্বে রাখা হয়েছে রিটনকে। যদিও পরে জানা যায়, প্রথমে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরে সেই দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবার কসবার ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভের সময় দায়িত্বে ছিলেন কসবা থানার এসআই রিটন। ঘটনার দিন তিনি কর্তব্যরত থাকায় তাঁকে এই সংক্রান্ত তদন্তের আইও হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে দায়িত্ব পেয়েছেন সঞ্জয়। এ বিষয়ে চাকরিহারাদের একাংশের অভিযোগ, যে পুলিশকর্মী তাঁদের লাথি মারলেন তিনি কীভাবে এই ঘটনার তদন্ত করতে পারেন ?
Advertisement