মেসিকে ঘিরে কলকাতায় যে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিল রাজ্য পুলিশ। পুলিশের মহানির্দেশক রাজীব কুমার জানান, দর্শকদের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল, কারণ অনেকেই মনে করেছিলেন, মেসি মাঠে নামছেন বা খেলবেন। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়াতেই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে পুলিশের প্রাথমিক মূল্যায়ন।
রাজীব কুমারের বক্তব্য, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী মেসির এখানে আসা, দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়া, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তার পর চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে পৌঁছয়নি। ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়।’ তিনি আরও জানান, গোটা ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি আয়োজকদের গাফিলতি ছিল কি না, নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোথায় ত্রুটি হয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখবে।
Advertisement
পুলিশের মহানির্দেশক স্পষ্ট করে জানান, আয়োজকদের তরফে লিখিতভাবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, যাঁরা টিকিট কিনেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ এই ঘটনায় আয়োজককে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
Advertisement
এ দিকে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক অতিরিক্ত মহানির্দেশক জাভেদ শামিম জানান, ঘটনার পরই দ্রুত শান্তি ফেরানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘শান্তি বজায় রাখা ছিল আমাদের প্রথম কাজ। সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, মানুষজন বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।’ তিনি বলেন, এই উত্তেজনাটি সল্টলেক স্টেডিয়াম এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও ঘটনাটিকে তিনি বড় ঘটনা বলেই উল্লেখ করেন।
জাভেদ শামিম আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্বে রয়েছি। আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে, তার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শেষ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
Advertisement



