• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

খিদিরপুরের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক সহায়তা দিচ্ছে পুরসভা

সোমবার ভোররাতে আগুনে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মঙ্গলবার থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র বিলি করা হয়।

খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াল কলকাতা পুরসভা। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এছাড়াও পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া দোকান এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে খুব শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা চালানো হবে।

সোমবার ভোররাতে আগুনে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মঙ্গলবার থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র বিলি করা হয়। বুধবার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই সেই ফর্ম পূরণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করছেন। আবেদনপত্র পূরণে সহায়তা করতে পুরসভার আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি কোন কোন অংশে আগুন লেগেছে। সেই তথ্য ধরেই প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এই আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ওদের পরিবার চালাতে হয়। তাই দ্রুত কিছু টাকা হাতে পেলে ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা এবং যাঁদের দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ যেমনই হোক না কেন, প্রত্যেক দোকান মালিককেই প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এরপর চালানো হবে বিস্তারিত সমীক্ষা। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভাকে দেওয়ার পর, এক জরিপে জানানো হয়েছিল, সেখানে প্রায় ১৩০০-রও বেশি দোকান রয়েছে। যদিও আগের রিপোর্টে দোকানের সংখ্যা ছিল ৭০০।
বরো নাইন-এর চেয়ারপার্সন দেবালিনা বিশ্বাস এদিন বলেন, ‘বুধবার আমি মার্কেটে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা ডকুমেন্ট তৈরি করছিলেন। ওরা শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য।’