অভিযুক্ত ফাল্গুনি প্রথম থেকেই অপরাধপ্রবণ মানসিকতার। তিনি যে কেবল সম্পত্তির লোভে বা রাগের বশে পিসি শাশুড়িকে খুন করেছেন, এমন নয়। অনেক আগে থেকেই তাঁর মনে অপরাধপ্রবণতার বিষবৃক্ষ জন্ম নিয়েছিল। এর আগে শিলিগুড়িতে তাঁর মামাশ্বশুর বাড়িতে সেই মানসিকতা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। সেই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে তাঁর বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয়। এরপরই মধ্যমগ্রামে নিজের বাড়িতে চলে আসে সে।
জানা গিয়েছে, ফাল্গুনির শ্বশুরবাড়ি অসমে। বছর চারেক আগে তাঁর সঙ্গে স্বামী শুভঙ্করের সম্পর্ক ভালোই ছিল। গোলবাধে ২০২১ সালে একটি ঘটনার পর। এই বছর জুলাই মাসে ফাল্গুনি স্বামীর সঙ্গে শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লীতে মামা শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা প্রায় এক মাস ছিলেন। কিন্তু তাঁরা বাড়ি ফেরার পর মামাশ্বশুর দেখেন তাঁর আলমারি থেকে চেন-সহ সোনার বেশ কিছু গয়নাগাটি উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে হাওয়া হয়ে যায় নগদ ২৫ হাজার টাকাও।
ঘটনার কিনারা করতে পুলিশের দ্বারস্থ হন মামা শ্বশুর। তিনি শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ফাল্গুনি ও তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের জেরে ভেঙে পড়ে চুরির কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় তাঁর চারদিন জেল হেফাজতও হয়। মামা শ্বশুরের পক্ষের আইনজীবী ফাল্গুনিকে অপরাধমনস্ক বলে দাবি করে। সেই দাবি যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য, তা যেন প্রমাণিত হয়ে গেল পিসি শাশুড়িকে খুনের ঘটনা সামনে আসার পর। এই ঘটনার পর তাঁর ভাসুর ফাল্গুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।