• facebook
  • twitter
Friday, 26 December, 2025

শুনানি ঘিরে কড়া বিধি ও নজরদারি জারি রাখবে নির্বাচন কমিশন

ব্রিফিংয়ে আজকের পরীক্ষামূলক শুনানির কথাও তুলে ধরা হয়। ১৪৩ ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে শুনানির জন্য ১৪৪ জন ভোটারকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ ও আপত্তির নিষ্পত্তিতে আরও কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, শনিবার থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক শুনানি। এই শুনানিতে কারা থাকবেন, কী ভাবে প্রক্রিয়া চলবে এবং কোথায় কতগুলি টেবিল বসবে— সবটাই নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিং অনুযায়ী, শুনানির সময় শুধুমাত্র ইআরও, এইআরও, বিএলও, বিএলও সুপারভাইজার, মাইক্রো অবজারভার এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার উপস্থিত থাকতে পারবেন। এর বাইরে কোনও রাজনৈতিক কর্মী, প্রতিনিধি বা সাধারণ ব্যক্তিকে শুনানি কক্ষে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। কমিশনের বক্তব্য, শুনানির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই কড়াকড়ি।

Advertisement

প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে প্রায় ২৫০ জন মাইক্রো অবজারভারকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে এবং অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দেশ না মানলে তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

রাজ্য জুড়ে শুনানির জন্য মোট টেবিলের সংখ্যা নির্ধারিত হয়েছে ৩,২৩৪টি। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১১টি করে টেবিল বসবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হবে। কলকাতায় মোট ১২১টি শুনানি টেবিল বসছে, অর্থাৎ শহরের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১১টি করে টেবিল থাকবে।

শুনানির সময় কোনও সিসিটিভি বা ওয়েব কাস্টিং রাখা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরিবর্তে একটি বিশেষ রেজিস্টার রাখা হবে, যেখানে ভোটার, ইআরও, এইআরও এবং মাইক্রো অবজারভার সকলেই স্বাক্ষর করবেন। এই রেজিস্টার পরে সফটওয়্যারে আপলোড করা হবে এবং শুনানি শেষে তা এনুমারেশন ফর্মে থাকা স্বাক্ষরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। কমিশনের দাবি, এই পদ্ধতিতেই প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকবে।

ব্রিফিংয়ে আজকের পরীক্ষামূলক শুনানির কথাও তুলে ধরা হয়। ১৪৩ ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে শুনানির জন্য ১৪৪ জন ভোটারকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৩ জন উপস্থিত ছিলেন। ফলতায় ৩০ জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে সকলেই শুনানিতে হাজির হন। সমস্ত প্রস্তুতি আগেভাগেই সম্পন্ন থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শুনানি শেষ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, রাজ্য জুড়ে একই রকম নিয়ম মেনে দ্রুত ও সুশৃঙ্খল ভাবে শুনানি সম্পন্ন করাই তাদের লক্ষ্য।

Advertisement