• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

রাজনীতি থেকে অবসর চান চিরঞ্জিৎ, তবে শেষ কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীই

রাজনীতি ছাড়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক

ফাইল চিত্র

গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বারাসতের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। পরে মত বদল করে নির্বাচনে প্রার্থী হলেও ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একই ইঙ্গিত দিলেন টলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি বললেন, ব্যাটন হস্তান্তরের কথা। রবিবার বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুরে একটি জনসংযোগ কর্মসূচিতে ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘আমার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মনে হয় সময় এসেছে হস্তান্তরের। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই।” বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে তিন বারের বিধায়কের মুখে এহেন বক্তব্যে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমেই কি প্রার্থী না হওয়ার জল্পনা উসকে দিলেন, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

রাজনীতি ছাড়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক। জানিয়েছেন, নিজের মতো করে বাঁচার কথা, রাজনীতি থেকে সরে আসার কথা জানালেও শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনি আরও জানান, “উনি বলেছেন এখনও এক বছর বাকি আছে। মুখ্যমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা একমাত্র উনিই জানেন। এবার উনি যদি আমাকে বলেন থাকতেই হবে, ছাড়বেন না, আমার থাকার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমি সে বিষয়ে ভাবব।”

যারা বরাবর রাজনীতিতে আগ্রহী, যাদের কাজ রাজনীতি, এটা তাদের করা উচিত বলেই জানান বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি জানান, সিনেমা করাই তাঁর কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রার্থী বানিয়েছিলেন। মানুষের ভালোবাসায় তিন বারের বিধায়ক হয়েছেন তিনি। ১৫ বছর ধরে বারাসাতে মানুষের ভালো মন্দে আছেন। বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মানুষ আমাকে যাচাই করেছে। আমি বুঝেছি বারাসতের মানুষ আমাকে পছন্দ করে, সম্মান করে। সে কারণেই আমাকে রাখা হয়েছে। তবে বয়স বাধ সাধছে। চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর কী মত, কার্যত তার উপরই নির্ভর করবে সমস্তটা।