• facebook
  • twitter
Saturday, 2 August, 2025

পার্ক সার্কাস মার্কেট সরানো ও পুনর্গঠন নিয়ে বড় পদক্ষেপ

এর ফলে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে পার্ক সার্কাস ময়দানে স্থানান্তর এবং পুরোনো মার্কেট ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার কাজ এগোবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পার্ক সার্কাস মার্কেট সরানো ও নতুন করে নির্মাণের পথে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভার এক বৈঠকে এই বিষয়ে সংশোধিত শর্তাবলী অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে পার্ক সার্কাস ময়দানে স্থানান্তর এবং পুরোনো মার্কেট ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার কাজ এগোবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

সংশোধিত শর্ত অনুযায়ী, স্থানান্তরের আগে পর্যন্ত স্টল ভাড়া আগের মতই থাকবে। স্টলের জন্য প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা ও স্ল্যাবের জন্য ৪ টাকা মাসিক হারে। তবে মার্কেট অস্থায়ীভাবে পার্ক সার্কাস ময়দানে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাই ব্যবসায়ীদের আর্থিক চাপ কমাতে এই ভাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্টলের জন্য ২ টাকা এবং স্ল্যাবের জন্য ১.৭৫ টাকা প্রতি বর্গফুটে ধার্য করা হয়েছে।

নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত নিয়ম আরও স্পষ্ট করেছে পুরসভা। কোনও ব্যবসায়ীর মৃত্যু হলে কিংবা অসুস্থ থাকলে তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীই শুধু এই পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য ফি নির্ধারিত হয়েছে—স্টলের জন্য ৪ টাকা এবং স্ল্যাবের জন্য ৩.৫ টাকা প্রতি বর্গফুটে। তবে উত্তরাধিকারীকে অবশ্যই লিখিতভাবে স্থানান্তরের বিষয়ে সম্মতি জানাতে হবে। যদি কেউ এই স্থানান্তরে রাজি না হন, তবে তার আবেদন বাতিল হতে পারে এবং আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।

পুনর্গঠিত মার্কেটে নিচতলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম আরও কড়া হয়েছে। শুধুমাত্র পুরসভার অনুমোদিত ও বিধিমাফিক নির্মিত নিচতলাই ভবিষ্যতে অনুমোদন পাবে। অবৈধ বা অনুমোদনহীন নিচতলার কোনও জায়গা থাকবে না।

যেসব ব্যবসায়ী তাদের বরাদ্দকৃত জায়গার থেকে বেশি জায়গা দখল করে আছেন, তাঁরা প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে তা বৈধ করতে পারবেন। যাঁদের দখল করা জায়গা বরাদ্দকৃত এলাকার চেয়ে কম, তা তাঁদের পূর্ণ অধিকারে কোনও বাড়তি খরচ ছাড়াই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বন্ধ বা খালি স্টলের ক্ষেত্রে পুরসভা বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রকৃত দাবিদার খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যদি কোনও দাবিদার না মেলে, তবে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই স্টলের মালিকানা বাতিল করা হবে এবং দরপত্র ডাকার মাধ্যমে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই স্টলগুলির যেকোনও বকেয়া পরিমাণ নতুন বরাদ্দ মূল্যেরই অংশ হবে।

ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু জরুরি দায়িত্বও নির্ধারণ করেছে পুরসভা। তাঁদের সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে, কেওয়াইএল ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হলফনামা জমা দিতে হবে। পুরসভা জানিয়েছে, গোটা প্রকল্পটি প্রায় দুই বছর ধরে চলবে। পুনর্বাসনের পর ব্যবসায়ীরাই ভিতরের সাজসজ্জার দায়িত্ব নেবেন, তবে সবটাই হবে পুরসভার অনুমোদন নিয়ে।