• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

যোগীর দাবি, কুম্ভের জল খাওয়ার যোগ্য

কেন্দ্রের রিপোর্ট উড়িয়ে

ফাইল চিত্র

কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে, মল-মূত্র থেকে বিপুল ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভে। তাই ত্রিবেণী সঙ্গমের জল যে ভীষণ দূষিত তা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। তবে এই রিপোর্টের তথ্য কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বরং তাঁর পাল্টা দাবি, কুম্ভের জল এতটাই পরিষ্কার যে, তা পান করারও যোগ্য। এ নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

১৩ জানুয়ারি থেকে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। পরিবেশ আদালতে পেশ করা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন সময়ে নদীর জল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ফিকাল কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রার দিক থেকে তা স্নানের উপযুক্ত নয়। এই জলে স্নান করলে শারীরিক দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে। কুম্ভমেলার সময়ে বিশেষ করে শাহি স্নানের দিনগুলিতে পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণে এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই রিপোর্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই সমাজবাদী পার্টি এবং অন্য বিজেপি-বিরোধী দলগুলি সমালোচনা শুরু করেছিল। বুধবার বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন যোগী। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তিনি বলেছেন, ৫৬.২৫ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই মহাকুম্ভে স্নান করেছেন। বহু সেলিব্রেটিও পুণ্যস্নান করেছেন এবং ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন। কোনও ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করার অর্থ ওই ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করা। এরপরেই যোগী বুধবার উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বুধবার ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে গঙ্গায় বিওডির মাত্রা লিটারপিছু ৩ মিলিগ্রামের কম ছিল। ফলে সঙ্গমের জল শুধু স্নানযোগ্যই নয়, এই জল পান করাও যেতে পারে।

Advertisement

এদিন শুধু সঙ্গমের জল নিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের রিপোর্টকে উড়িয়ে দেওয়াই নয়, কুম্ভমেলার ব্যবস্থাপনা এবং পদপিষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল তাঁর সরকারের যে সমালোচনা করেছে, তার জবাবে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন যোগী। কুম্ভমেলা নিয়ে বিরোধী দলগুলি এসব মন্তব্য করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ আদিত্যনাথের। তবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টকে যতই উড়িয়ে দিন না কেন, জাতীয় পরিবেশ আদালতে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন এজলাস ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উত্তরপ্রদেশ  দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ব্যাখ্যা  জানতে চেয়েছে।

Advertisement

Advertisement