• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

স্বামীকে লিভার দান করে মৃত্যুর কোলে স্ত্রী, প্রতিস্থাপনের পরে মৃত্যুবরণ দু’জনেরই

এই ঘটনার জেরে কড়া পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

স্বামীকে লিভারের অংশ দান করেছিলেন স্ত্রী। সেই প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হল দু’জনেরই। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পুনের। এই ঘটনার জেরে কড়া পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে সোমবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও ভিডিও নথি জমা দিতে বলা হয়েছে।

পুনের বাসিন্দা বাপু কোমকারের লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। তাঁর স্ত্রী কামিনী কোমকার স্বেচ্ছায় অঙ্গদানে এগিয়ে আসেন। ১৫ আগস্ট এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই বাপুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১৭ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ২১ আগস্ট সংক্রমণ ধরা পড়ে দাতা কামিনীর শরীরে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

হাসপাতাল জানায়, দাতার প্রথম অবস্থান স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু হঠাৎ সেপটিক শকের কারণে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর নাগনাথ ইয়েমপাল্লে জানিয়েছেন, হাসপাতালকে দুই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি, অস্ত্রোপচারের ভিডিও এবং রোগীদের সম্মতির ফুটেজ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য জমা দেবে। পাশাপাশি কোমকার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে হাসপাতাল আরও দাবি করেছে, রোগী বাপুর পূর্ব থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল এবং প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সম্পূর্ণভাবে অবগত করা হয়েছিল।

স্বেচ্ছায় অঙ্গদানের মতো মহান পদক্ষেপের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি অস্ত্রোপচারের আগে যথেষ্ট সতর্কতা ও পরিকাঠামো নিশ্চিত করা হয়েছিল? তদন্তের রিপোর্টেই মিলবে সেই সব প্রশ্নের উত্তর। আপাতত শোকস্তব্ধ কোমকার পরিবার।

Advertisement