সংসদে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত কতটা ? কত কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে এবং কতটা জায়গায় নেই ? যে জায়গায় কাঁটাতারের ফেন্সিং নেই, সেখানে কেন নেই ? পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে লিখিত জবাবে জানানো হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৩২৩২.১৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, ৮৬৪ কিলোমিটারে এখনও বেড়া দেওয়া বাকি। তবে এর মধ্যে আবার ১৭৪ কিলোমিটারে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এর কারণ, লিখিত আকারে উল্লেখ করা না থাকলেও ওয়াকিবহাল মহলের মতে ভৌগোলিক কারণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের দাবি, এই সব অরক্ষিত এলাকা দিয়ে চলে অনুপ্রবেশ। মালদহের সীমান্ত এলাকার কাচাকাছি বাংলাদেশের ভোলাহাট, শিবগঞ্জ, চাঁপাই, যশোর, নবাবগঞ্জের মতো এলাকা থেকে ভারতের হবিবপুর হয়ে নিয়মিত চলে অনুপ্রবেশ। এলাকাবাসীদের অভযোগ, ঘুষ দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। অনেকে জানান, স্থানীয় নেতাদের সাহায্যে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না বলে বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের অনেকাংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। কেন্দ্র শাজদার প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে, যে এলাকায় এখনও ফেন্সিং দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে মূল কারণ জমি অধিগ্রহণ।
অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বক্তব্য, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীন। সুতরাং এর দায় রাজ্য সরকারের নয়। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য রাজ্য ৯.৯ একর জমি দেবে। এর মধ্যে মালদহে সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সংঘাতও হয়েছিল। এই আবহে সংসদে শাজদার প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র।