‘তিনি যা করেছেন তা সর্বদা দেশের স্বার্থে ছিল’, সীতারাম ইয়েচুরি সম্পর্কে এই ভাষাতেই আবেগপূর্ণ শ্রদ্ধা জানালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি শনিবার প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যাঁকে একশো শতাংশ বিশ্বাস করা যায়। এদিন রাহুল আরও বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমান সময় যে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে চলেছে তিনি(সীতারাম) তার সঙ্গে কখনোই আপস করতেন না।
অন্যদিকে সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে সীতারাম ইয়েচুরি এবং তাঁর দল সিপিএম-এর তীব্র সমালোচনা করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুখ আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, যখন জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই সময় সীতারাম ইয়েচুরি ও তাঁর দলই বাধা দিয়েছিলেন।
Advertisement
শনিবার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সীতারাম ইয়েচুরির জন্য স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।শনিবার সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় ইন্ডিয়া জোটের প্রায় সকল সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, আরজেডি-র মনোজ ঝা, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, ডিএমকে-র কানিমোজি, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, জেএমএম-র মমতা মোহান্তি, সিপিআইএমএল-র দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই-র ডি রাজা, আম আদমি পার্টির গোপাল রাই প্রমুখ। তৃনমূল কংগ্রেসের তরফে যদিও কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
Advertisement
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সিপিএমের জাতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২৫ দিন দিল্লির এইমস-এ ভর্তি থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট গঠনে মূল কান্ডারি ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিই। কিন্তু তিনি কোনওদিন তার জন্য কোনও রকম বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করেননি। যাঁর বাহবা পাওয়া উচিত ছিল তিনিই চলে গেলেন।’
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধু ছিলেন। ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছেন। ইন্ডিয়া এবং ইউপিএ-র কাঠামো তৈরি করেছিলেন। পর্দার আড়ালে থেকে তিনি গোটা ইন্দিরা জোটকে গড়ে তোলার কাজ করেছিলেন।’
অন্যদিকে এদিনের স্মরণসভায় ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘আমরা একসময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলাম। উনি হতে দেননি। সেদিন যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে এদেশ অন্যরকম হত’।
Advertisement



