উত্তরাখণ্ডে মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাসে স্থান পাচ্ছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেরাজ্যের অন্তত ৪৫০টি মাদ্রাসার সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পড়ানো হবে। আলিয়া (ইন্টারমিডিয়েট) লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হবে এটি। অপারেশন সিঁদুরের অন্তর্ভুক্তির জন্য সিলেবাসে বিশেষ বদলও আনা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। ৭ মে রাতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঘুম কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্তানের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এহেন পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দিতেই সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুরের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ড।
কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জবাবে ৭ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। মাত্র ২৩ মিনিটে অপারেশনে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক জঙ্গি শিবির। এর মধ্যে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। পাকিস্তানের মোট ৯টি জঙ্গি শিবিরে ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারত।
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বাহাওয়ালপুরের জৈশ-ই-মহম্মদের শিবির, মুরদিকে লস্করের ঘাঁটি, শিয়ালকোটের সরজল শিবির, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে জঙ্গি শিবির, কোটলি ও ভিম্বারের বারনালা ক্যাম্প, কোটলির আব্বাস জঙ্গি শিবির, কোটলির গালপুর জঙ্গি ঘাঁটি এবং ভিম্বারের বারনালা ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
অপারেশন সিঁদুরের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়নি। সাধারণ নাগরিকের উপরও হামলা করা হয়নি। কৌশলগত পরিকল্পনা করে কেবল জঙ্গিঘাঁটিগুলোকে নিশানা করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের সরকারি মাদ্রাসাগুলোর পাঠ্যক্রমে এবার সেনার সেই বীরগাঁথা থাকবে।