• facebook
  • twitter
Thursday, 24 April, 2025

ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় হইচই

সাসপেন্ড আপের ২০ বিধায়ক

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বিতর্কিত ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দিল্লি বিধানসভায়। মঙ্গলবার আবগারি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ করার পরেই শুরু হয় হইচই। উপরাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীনই ব্যাপক বিক্ষোভ আপ বিধায়কদের। যার জেরে ২০ জন আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল জমানায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবগারি কেলেঙ্কারি। এই দুর্নীতিকে সামনে রেখেই দিল্লি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে গেরুয়া শিবির। এই দুর্নীতির মামলায় জেলে গিয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট রিপোর্ট দীর্ঘদিন ধরেই খামবন্দি হয়ে পড়েছিল। দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবারই রিপোর্ট জমা করেছিল সিএজি। বিধানসভায় সেই রিপোর্ট পেশ করেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে আপ যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তা রাজধানীর কোষাগারে বড় ধাক্কা দিয়েছে।

অন্তত ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দিল্লি সরকারের। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আপ সরকারের আমলে ঘোষিত ওই আবগারি নীতিতে প্রচুর ত্রুটি ছিল। এবং সেটা প্রকশ্যে আসার পরও ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি দিল্লি সরকার। এরপরে উপরাজ্যপাল ভিকে সক্সেনা বক্তব্য শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আপের বিধায়কেরা। বিআর অম্বেদকরের ছবি তুলে ধরে জয় ভীম স্লোগান দিতে থাকেন। আপের অভিযোগ, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরানো হয়েছে অম্বেদকর এবং ভগৎ সিংহের ছবি। বিজেপি যদিও সেই দাবি মানেনি। আপের বিক্ষোভে উপরাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন বিধানসভায় রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়।

স্পিকার বারবার অনুরোধ করা সত্বেও বিক্ষোভ থামাননি আতিশী মার্লেনা, গোপাল রাইরা। ফলে বাধ্য হয়ে ২০ জন আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। সাসপেন্ড হওয়ার পরেও বিধানসভা চত্বরে বসে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন আপের বিধায়কেরা।
আতিশী অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আম্বেদকরের ছবি সরিয়ে তাঁকেই অপমান করেছে দিল্লির নতুন বিজেপি সরকার। তাঁদের সাফ দাবি, যতক্ষণ না আম্বেদকরের ছবি যথাস্থানে বসানো হচ্ছে ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে। যদিও গেরুয়া শিবির এই অভিযোগ মানতে চায়নি।