আশাতীত বৃদ্ধি অর্থনীতিতে, জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

দ্রুত গতি বাড়ছে অর্থনীতির। সেই কারণেই এই পুনর্মূল্যায়ন। মূল্যবৃদ্ধি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে বলে জানানাে হয়েছে।

Written by SNS Delhi | December 5, 2020 1:46 pm

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Photo: IANS)

করােনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। উৎসবের মরসুমে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। এবার তা পাকাপাকি ভাবে প্রমাণিত হল আরবিআই-য়ের ঘোষনায়।

শুক্রবার আরবিআই-এর দ্বিমাসিক নীতি নির্ধারণের পর তা ঘােষণা করলেন আরবিআই গভর্নর। আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, শ্লথ হলেও সেই গতি ধরে রাখতে রেপাে রেট ও রিভার্স রেপাে রেট অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের গ্রস ডােমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) বৃদ্ধির হারও পুনর্মূল্যায়ন করে কিছুটা ভাল জায়গায় থাকবে বলে জানান তিনি।

পাশাপাশি রেপাে রেট এবং রিভার্স রেপাে রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৩,৩৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রেখে দেওয়ার ব্যাপারে ৬ জনের কমিটিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে শক্তিকান্ত। এই নিয়ে গত মে মাস থেকে দুই হারই অপরিবর্তিত রাখল শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

এ দিন আরবিআই-এর ঘােষণার পরেই তেজি শেয়ার বাজারও। বাজার ইতিহাসে এই প্রথম বার ৪৫ হাজারের অঙ্ক ছুঁয়েছে মুম্বই শেয়ার সুচক সেনসেক্স। সমান তালে উর্ধমুখী নিফটিও। উল্লেখ্য , জিডিপি বৃদ্ধির হারে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল থেকে জুন) জিডিপির সঙ্কোচন অর্থাৎ ঋণাত্মক বৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল মাইনাস ২৩ শতাংশে।

এই তিন মাস অবশ্য প্রায় পুরাে সময় লাকডাউন চলেছে বলেই জিডিপি-র এমন নজিরবিহীন পতন হয়েছিল বলে মনে করেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তবে আনলক পর্বে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচন কিছুটা কমে হয়েছিল মাইনাস ৭.৫ শতাংশ। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পরিস্থিতি আরও কিছুটা ভাল বলে উল্লেখ করেছে আরবিআই গভর্নর। ২০২০-২১ পুরাে আর্থিক বছরের জিডিপি বৃদ্ধির হার মাইনাস ৯.৫ শতাংশ হবে বলে আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল আরবিআই। এ দিন আর্থিক নীতি পর্যালােচনার পর সেই পূর্বাভাস ২ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে মাইনাস ৭.৫ শতাংশ।

শক্তিকান্ত দাস বলেন, যা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়েও দ্রুত গতি বাড়ছে অর্থনীতির। সেই কারণেই এই পুনর্মূল্যায়ন। মূল্যবৃদ্ধি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে বলে জানানাে হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে নগদের জোগান ধরে রাখতে এবং চাহিদা বাড়াতে ধাপে ধাপে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস।