কোভিড সংক্রমণ লাগামছাড়া, চার রাজ্য থেকে রিপোর্ট তলব শীর্ষ কোর্টের

দেশের কোভিড সংক্রমণের হার নিয়ে কপালে ভাঁজ খােদ সুপ্রিম কোর্টের– দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও অসম প্রশাসনের থেকে দু’দিনের মধ্যে কোভিড রিপাের্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS New Delhi | November 24, 2020 5:26 pm

প্রতীকী ছবি (Photo: AFP)

দেশের কোভিড সংক্রমণের হার নিয়ে কপালে ভাঁজ খােদ সুপ্রিম কোর্টের– দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও অসম প্রশাসনের থেকে দু’দিনের মধ্যে কোভিড রিপাের্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, করােনা সংক্রমণের হার চলতি মাসে খুব বেশি মাত্রায় বেড়ে গেছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। সমস্ত রাজ্যের থেকে সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস রিপাের্ট চাই। রাজ্যগুলাে যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ডিসেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। 

তিন সদস্যের বেঞ্চের তরফে জানানাে হয়েছে, দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি ভয়ানক- বর্তমান পরিস্থিতি কি? অতিরিক্ত কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? আমাদের এই ব্যাপারগুলােয় নজর দিতে হবে। 

দিল্লি প্রশাসনের তরফে শহরের কোভিড সংক্রমণ রুখতে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে, তা আদালতকে জানানাে হয়েছে। পাল্টা আদালতের তরফে জানানাে হয়েছে, আরও ভয়ানক পরিস্থিতি হবে, ফলে রাজ্যগুলােকে পরিস্থিতি মােকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কেন্দ্রের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতকে জানানাে হয়েছে, দিল্লিতে করােনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 

দিল্লিতে করােনা সংক্রমণ ৫.২৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সােমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির রাজ্য গুজরাত ও রাজধানী দিল্লির করােনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানায়, আগামী দু দিনের মধ্যে প্রতিটি রাজ্যকে করােনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপাের্ট জমা দিতে হবে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশােক ভুষণের বেঞ্চ জানায় রাজধানী দিল্লি ও গুজরাতের করােনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমনকি গুজরাতে করােনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট। 

প্রসঙ্গত রবিবারও দিল্লিতে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০০০ জন এবং গুজরাতে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৯৫ জন। এদিন দিল্লির অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল সঞ্জয় জৈনকে আদালত বলে, নভেম্বরে দিল্লির করােনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। করােনা নিয়ন্ত্রণে দিল্লি প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।