দুজনেই পৃথক দুই ব্যক্তির স্ত্রী। দুজনেই থাকেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। সামাজিক মাধ্যমেই তাঁদের পরিচয়। অথচ তাঁদের মধ্যে একটা বিষয়ে খুব মিল। দুজনেই মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মুখ বুঝে বছরের পর বছর ধরে সেই অত্যাচার সহ্য করে আসছিলেন। এতদিন তাঁরা দুজনে পরস্পরে ছিলেন নিছক বন্ধু। তাঁদের দুঃখ ভাগ করার উপায় ছিল সামাজিক মাধ্যম। এবার একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন। দু’জনেই নিজেদের মধ্যে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
অতীতের দুঃখ ভুলে এভাবে দুই নারী নতুনরূপে সরাসরি পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঘটনা সাড়া জাগিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। একাধিক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনামে এসেছেন তাঁরা। আজব এই ঘটনা ঘটেছে যোগিরাজ্য উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। অত্যাচারিত ওই দুই নারীর নাম কবিতা এবং গুঞ্জা!
Advertisement
জানা গিয়েছে, ওই দুই নারীর ইনস্টাগ্রামেই পরিচয় হয়। এতদিন তাঁরা সেখানেই নিজেদের দুঃখ ভাগ করে নিতেন। কিন্তু এবার সহ্যের সীমা অতিক্রম করতেই সিদ্ধান্ত নিলেন এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবেন। স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঠিক করলেন, এই সংসার আর নয়। বৃহস্পতিবার সটান চলে গেলেন দেওরিয়ার ছোট কাশী নামে পরিচিত বিখ্যাত শিব মন্দিরে। অতীতের দুঃখ ভুলতে একে অপরকেই বিয়ে করে নিলেন দুই বধূ!
Advertisement
চার হাত এক করে একজন আরেকজনকে সিঁদুর পরিয়ে মালাবদল করলেন তাঁরা। দুজনের মুখেই খুশির জোয়ার। এভাবে ছয় বছরের বন্ধুত্ব পরিণতি পেল নতুন করে। অত্যাচারিত কবিতা ও গুঞ্জা দুজনেই জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে আসছেন। স্বামীদের রোজকার অত্যাচার আর অশান্তি সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
Advertisement



