• facebook
  • twitter
Thursday, 20 March, 2025

জাতীয় স্তরের ২ কবাডি খেলোয়াড় বোনের রহস্যমৃত্যু, গোপনে শেষকৃত্য

তারা বাবার কাছে দু'টি মোবাইল ফোন চেয়েছিল

প্রতীকী চিত্র

জাতীয় স্তরের কবাডি খেলোয়াড় দুই বোনই। কিশোরী এই দুই বোনের আকস্মিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনিয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে দুই বোনেরই মৃত্যু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। অথচ ওই দুই কিশোরীর বাবা-মা কাউকেই কিছু না জানিয়ে দুই মেয়ের শেষকৃত্য সেরে ফেলেন। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সব থেকে বিস্ময়ের হল, ওই দুই কিশোরীর যে মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের দেহ যে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই খবর তাদের প্রতিবেশীরা, এমনকি পুলিশও জানতে পারেনি। শুক্রবার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে এই খবর সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। ইতিমধ্যেই দুই বোনের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের তদন্ত করছে পুলিশ।

মুজফফরনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিত্য বনসল জানিয়েছেন, প্রয়াত দুই কিশোরীর বয়স যথাক্রমে ১৭ এবং ১৬ বছর। তারা ফুগানা থানা এলাকার এক গ্রামের বাসিন্দা। দাবি করা হচ্ছে, গত ১৭-১৮ জানুয়ারির রাতে বাড়িতেই তাদের মৃত্যু হয়।
বাবা-মায়ের দাবি, ১৮ তারিখ সকালে তাঁরা দুই মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান এবং ওই দিনই তাদের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। অথচ, প্রতিবেশীরাও একথা ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি। কিন্তু, পরে কোনওভাবে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায় এবং সমাজ মাধ্যমে সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য ভাইরাল হয়। তখনই বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। এরপরই মৃত দুই কিশোরীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাঁদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হয়।
মৃত দুই কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁদের দুই সন্তান বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ, তারা বাবার কাছে দু’টি মোবাইল ফোন চেয়েছিল। কিন্তু, ওই ব্যক্তি মেয়েদের তা কিনে দিতে রাজি হননি।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই দম্পতির মোট ৮ সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে ৭ কন্যাসন্তান এবং ১ পুত্রসন্তান। যে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তারা এই দম্পতির মেজো এবং সেজো সন্তান ছিল। পুলিশের কাছে ওই দম্পতি দাবি করে, তাদের দুই মেয়ে যখন আত্মহত্যা করে, তখন তাঁরা এবং তাঁদের ৫ সন্তান বাড়িতেই ছিল। তাঁদের বড় মেয়ে বিবাহিতা। তাই তিনি সেখানে ছিলেন না।
পুলিশ ওই দম্পতির কাছ থেকে এমন কিছু নথি পায়, যা থেকে জানা গিয়েছে, প্রয়াত দুই কিশোরী জাতীয় স্তরের কবাডি খেলোয়াড় ছিল। তারা ন্যাশনাল ইউথ গেমসে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেখান থেকে গত ৭ জানুয়ারি বাড়ি ফিরেছিল। গত ৪ এবং ৫ জানুয়ারি ওই দুই বোন মহারাষ্ট্রে আয়োজিত এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।
গোটা ঘটনায় এখনও ধন্দে পুলিশ। তদন্ত চলছে।