ভারত সরকারের নােটিশ অনুযায়ী কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ব্লক করলাে টুইটার

কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভুয়া তথ্য দেওয়া ও সাধারণ মানুষকে উস্কানি –এই দুটি অভিযােগে মােট ১১৭৮ টি একাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়েছিল ট্যুইটারকে।

Written by SNS New Delhi | February 11, 2021 5:55 pm

টুইটার (File Photo: iStock)

কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভুয়া তথ্য দেওয়া ও সাধারণ মানুষকে উস্কানি –এই দুটি অভিযােগে মােট ১১৭৮ টি একাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়েছিল ট্যুইটারকে।

টুইটার বুধবার জানিয়ে দিল, ভারত সরকারের নােটিশে যে একাউন্টগুলির কথা বলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে কেবল ভারতেই ওই একাউন্টগুলি দেখা যাবে না ।

একই সঙ্গে আমেরিকার ওই সােশ্যাল মিডিয়া সংস্থা জানিয়েছে, তারা সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিকদের একাউন্ট বন্ধ করবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হবে। 

টুইটারের দাবি, অবাধ ইন্টারনেট ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিশ্বজুড়েই আঘাত আসছে। সরকারের বক্তব্য পাকিস্তানি ও খালিস্তানিদের কয়েকটি টুইটার একাউন্ট গত নভেম্বর মাস থেকেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

টুইটার এক ব্লগে বলেছে, তারা ভারতের কয়েকটি একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বটে, কিন্তু বিদেশে সেগুলি দেখা যাবে। টুইটারের ধারনা, যেভাবে তাদের কয়েকটি একাউন্ট বন্ধ করতে বলা হয়েছে তা ভারতের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেজন্যই সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিকদের একাউন্ট ব্লক করা হয়নি। কারণ তা মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। 

ভারতের আইনে বাকস্বাধীনতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার জানিয়েছে, যাদের কথা আগে কেউ জানতে পারেনি তারা যাতে নিজের কথা বলতে পারে সেজন্য সােশ্যাল মিডিয়া চেষ্টা করবে। প্রত্যেকে আরও যাতে উন্নত পরিষেবা পায় সেদিকেও নজর থাকবে তাদের। 

টুইটারে বলা হয়েছে, “আমরা বাকস্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাব। টুইটারে যদি কোনও বিষয়ে আলােচনা হয়, আমরা তাতে বাধা দেব না।” 

টুইটার জানিয়েছে, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্ত মন্ত্রক থেকে তাদের কয়েক দফায় কয়েক হাজার একাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কয়েকদিন আগে টুইটারকে চিনা পাপেট বলে বিদ্রুপ করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তার একটি টুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়। তার পরেই টুইট করে কঙ্গনা লেখেন, চিনা পাপেট টুইটার আবারও আমার একাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার হুমকি দিল। এবারে আমি কোনও নিয়ম ভাঙিনি তাও। যে দেশে আমি যাব, তােমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাব। চাইনিজ টিকটকের মতাে তােমাকে নিষিদ্ধ করে ছাড়ব। 

টুইটারের সঙ্গে যখন ভারত সরকারের মনােমালিন্য চলছে তখনই টুইটারের ভারতীয় শাখার নীতিনির্ধারক অধিকর্তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মহিমা কল। যদিও টুইটারের তরফে জানানাে হয়েছে মহিমার পদত্যগের পেছনে আলাদা কোনও কারণ নেই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম চেয়েছেন। যদিও পর্যবেক্ষকদের মতে, টুইটার নিয়ে অশান্তির মাঝে ভারতীয় শাখার নীতিনির্ধারকের সরে দাঁড়ানাের ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।