সােশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এবার আরও কড়া কেন্দ্র

সােশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার হলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ হবে জানাল কেন্দ্র।মাইক্রোব্লাটাং সংস্থা টুইটারের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিরােধ চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

Written by SNS Delhi | February 12, 2021 4:23 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

সােশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার হলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, এমনই জানাল কেন্দ্র। মাইক্রোব্লাটাং সংস্থা টুইটারের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিরােধ চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ রাজ্যসভায় বললেন, সােশ্যালমিডিয়ায় কেউ যদি ভুল তথ্য ছড়ায়, হিংসায় উস্কানি দেয়া, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব এবং লিঙ্ক উইনের নাম বলেন। এই সােশ্যাল মিডিয়াগুলির উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারতে তােমাদের লক্ষ লক্ষ ফলােয়ার আছে। তােমরা এখানে ব্যবসা করতে পার। লাভ করতে পার। কিন্তু তােমাদের ভারতের সংবিধান মেনে চলতে হবে।’

রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, ‘আমরা সােশ্যাল মিডিয়াকে যথেষ্ট সম্মান করি। সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে তাদের ভূমিকা আছে। কিন্তু ভুল তথ্য ছড়ানাে বা হিংসায় প্ররােচনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যদি সােশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানাে হয়, তাহলে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

সম্প্রতি ভারত সরকার জানায়, কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভুল খবর ছড়ানাে হচ্ছে। এই কারণে এক হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

টুইটার বুধবার জানায়, ভারত সরকারের নােটিশে যে অ্যাকাউন্টগুলির কথা বলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে কেবলমাত্র ভারতেই অ্যাকাউন্টগুলি দেখা যাবে না।

একই সঙ্গে আমেরিকার ওই সােশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি জানিয়েছে, তারা সাংবাদিক, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবে না। সেক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা লঙঘন করা হবে। টুইটারের দাবি, অবাধ ইন্টারনেট ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপরে বিশ্বজুড়েই আক্রমণ আসছে।

টুইটারের ধারণা, যেভাবে তাদের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়েছে, তা ভারতের আইনের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। সেজন্যই সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিকদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়নি। কারণ তা মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙঘন করে। ভারতের আইনে বাকস্বাধীনতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

মাইক্রোব্লাটং সাইট টুইটার জানিয়েছে। যাদের কথা আগে কেউ জানতে পারেনি, তারা যাতে নিজেদের কথা বলতে পারে, সেজন্য সােশ্যাল মিডিয়া চেষ্টা করবে। প্রত্যেকে যাতে আরও উন্নত পরিষেবা পায় সেদিকেও নজর থাকবে তাদের।

টুইটারের ব্লগে বলা হয়েছে, “আমরা বাকস্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাব। টুইটারে যদি কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, আমরা তাতে বাধা দেব না।’