যারা দেশবিরোধী স্লোগান দেয়, তাদের জায়গা জেলে, জেএনইউ ছাত্রদের নিশানা অমিতের

দিল্লি পুলিশ, তৎকালীন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল।

Written by SNS New Delhi | January 14, 2020 6:10 pm

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo: Twitter/@AmitShahOffice)

আক্রমণটা শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গেই টেনে আনলেন জেএনইউ’র টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা। রবিবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে এক জনসভায় উচ্চস্বরে জেএনইউ-এ টুকরে টুকরে গ্যাং প্রসঙ্গে সরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এদিন তিনি বলেন, ‘যারা দেশবিরােধী স্লোগান দেয় তাদের জায়গা হবে জেল’। তাঁর বক্তব্য, ‘জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া দেশবিরােধী স্লোগান তুলেছিল। তারা স্লেগান তুলেছিল ভারত তেরে টুকরে হােঙ্গে হজার, ইনসঅল্লাহু ইনসঅল্লাহ। তাদের কি জেলে ভরা উচিত নয়?’ সভায় উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ।

জমায়েত হওয়া মানুষের উৎফুল্লতার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাহুল বাবা ও কেজরিওয়াল এই সব ছাত্রদের রক্ষা করার কথা বলছেন, কেন তারা কি আপনাদের খুড়তুতাে ভাই?’ প্রশ্ন অমিতের। যদিও টুকরে টুকরে গ্যাং-এর বিষয়ে সবিস্তারে কিছুই অভিযােগ এদিন করেননি অমিত শাহ। এদিন জবলপুরে নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনের সমর্থনে সভা করেন অমিত শাহ।

দিল্লি পুলিশ, তৎকালীন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। অভিযােগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ভারত বিরােধী স্লোগান দিচ্ছিল তারা। ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একটি অনুষ্ঠান চলাকালীনই দেশবিরােধী স্লোগান দেওয়ার অভিযােগ সামনে আসে। কানহাইয়া সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি, জেএনইউ ক্যাম্পাসে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানাের অভিযােগ ওঠে বহিরাগত মুখােশধারী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘােষের ওপর হামলা চালানাে হয় লােহার রড দিয়ে। ঐশীর রক্তাক্ত ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সােশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযােগ ওঠে এবিভিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে।

যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই হিংসার ঘটনায় যাদের চিহ্নিত ও নাম প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে ঐশী ঘােষ সহ বাম ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার নামও রয়েছে। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার অভিযােগ করেন দিল্লি পুলিশ এবিভিপির মতাে কাজ করছে।

জেএনইউ’র সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিন্তা বেড়েছে। পুলিশের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত রিপাের্ট নিচ্ছে অমিত শাহ’র দফতর। এই ঘটনায় যখন ব্যাকফুটে বিজেপি ছাত্র সংগঠন সেদিক থেকে মােড় ঘােরাতেই অমিত শাহ’র এই কৌশল?