মহারাষ্ট্রের সরকার পতন নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোঁচা উদ্ধব ঠাকরের। গদি হারানোর পর প্রথমবারের জন্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমিত শাহকে স্মরণ করালেন ২০১৯ সালের প্রতিশ্রুতি।
এদিন সং বাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, অমিত শাহ যদি আমাকে দেওয়া কথা রাখতেন, তাহলে মহারাষ্ট্র আজকে একজন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পেত। বিজেপির সঙ্গে আগেই ৩০ বছরের গাঁটছড়া ছিন্ন করেছে শিবসেনা।
Advertisement
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, অমিত শাহ আমায় বলেছিলেন, সেনা এবং বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগ করে নেবে। রোটেশনের ভিত্তিতে একবার শিবসেনা আর একবার বিজেপি-র কোনও নেতা এই পদে বসনে।
Advertisement
যদিও উদ্ধবের এই দাবি অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, এমন কোনও আশ্বাস বিজেপির তরফে দেওয়া হয়নি।
বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে উদ্ধব সে সময় শরদ পাওয়ার এবং কং গ্রেসের সঙ্গে মহা বিকাশ আঘাড়ির জোট সরকার গঠন করেন।
জোটে শিবসেনার বিধায়কের সংখ্যাই বেশি ছিল। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে উদ্ধব ঠাকরেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হয়।
ফলে এদিন তাঁর মন্তব্য যে আদতে বিজেপিকে খোঁচা মেরেই বলা হয়েছে, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কেবলমাত্র বিজেপি কেই নয়, মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় গদিতে বসা একনাথ শিন্ডেকেও একহাত নিলেন উদ্ধব।
তিনি বলেন, যে দলকে এভাবে ছেড়ে চলে যেতে পারে, সে কখনই শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে না। শিবসনেরা প্রকৃত সৈনিকরা এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার শিবসেনার চিফ হুইপ সুনীল প্রভু সুপ্রিম কোর্টে বিধায়কদের সাসপেনশনের মামলায় শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন।
কিন্তু, এই নিয়ে জরুরি শুনানি হবে না, সোমবার এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, আমরা কেউ চোখ বন্ধ করে বসে নেই। ১১ জুলাই এই নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
গত সোমবার ওই ১৫ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এবং একনাথ শিন্ডের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে ডেপুটি স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে।
Advertisement



