• facebook
  • twitter
Monday, 2 December, 2024

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ এর ফাঁদে পা দিয়ে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা খোয়ালেন তরুণী, শরীর তল্লাশির নামে বাধ্য করা হল বিবস্ত্র হতে   

দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশে মুম্বইয়ের এক ২৬ বছর বয়সের তরুণীকে হুমকি ও ভয় দেখানো। ‘ডিজিটাল গ্রেফতার ফাঁদে পা দিয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খোয়ালেন তরুণী। শুধু টাকা আত্মসাৎই নয়,  প্রতারকরা ওই তরুণীকে ভিডিও কলের সময় নগ্ন করতে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ।  মুম্বইয়ের এক হোটেলে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে প্রতারকরা। এমনভাবে ওই তরুণীকে ভয় দেখানো হয়, যার জেরে প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হন ওই তরুণী। গত ১৯ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটে।

দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশে মুম্বইয়ের এক ২৬ বছর বয়সের তরুণীকে হুমকি ও ভয় দেখানো। ‘ডিজিটাল গ্রেফতার ফাঁদে পা দিয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খোয়ালেন তরুণী। শুধু টাকা আত্মসাৎই নয়,  প্রতারকরা ওই তরুণীকে ভিডিও কলের সময় নগ্ন করতে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ।  মুম্বইয়ের এক হোটেলে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে প্রতারকরা। এমনভাবে ওই তরুণীকে ভয় দেখানো হয়, যার জেরে প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হন ওই তরুণী। গত ১৯ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান  তরুণী। প্রতারকদের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং তোলাবাজির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারিত ওই তরুণী মুম্বইয়ের বোরিভালি ইস্টের বাসিন্দা। প্রতারকরা তাঁর সঙ্গে ১৯ নভেম্বর যোগাযোগ করেছিল। প্রতারকদের তরফে জানানো হয়, ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের সঙ্গে  যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত। ওই তরুণী মুম্বইয়ের এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করে সাইবার প্রতারকরা। তরুণী অভিযোগ করেন, একাধিক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তরুণীকে ভয় দেখানো শুরু হয়। গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়।এমনকি ‘ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ’ করতে তাঁকে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ঘরভাড়া নিতে বাধ্য করা হয়। এর পর হোটেলের ঘরে ভিডিও কল করে তাঁকে নানাভাবে ভয় দেখায় ওই প্রতারকরা। এমনকি তরুণীর বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ রয়েছে তাই তাঁকে বিবস্ত্র অবস্থায় শরীর শনাক্তকরণ-এর নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই করার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলে ওই প্রতারকরা। 
 
প্রতারিত তরুণী টাকা খুইয়ে জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পারেন। ২৮ নভেম্বর একটি এফআইআর দায়ের করেন তিনি। প্রতারিত তরুণী প্রথমে মুম্বইয়ের দহিসর থানায় অভিযোগ জানান। প্রাথমিকভাবে তদন্ত চালাচ্ছিল দহিসর থানা। পরে তা অন্ধেরি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সাইবার প্রতারণার এখন অন্যতম অস্ত্র ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’। সম্প্রতি ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। প্রতারণার  নতুন নতুন পন্থা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সম্প্রতি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বলে কিছু হয় না। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই বলেও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে সাবধানতার সঙ্গে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  

 আপাতত ঘটনার তদন্ত করছে অন্ধেরি থানার পুলিশ।ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং আই. টি আইনের বিভিন্ন ধারায় মুম্বই পুলিশ জুলুমবাজি ও হয়রানির মামলা দায়ের করে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।