মোদি এবং রাহুল – উভয় পক্ষের তরফেই জবাব দিতে সময় চাইল দুই দল 

Written by SNS April 30, 2024 7:04 pm
দিল্লি, ৩০ এপ্রিল – ধর্মের নামে ভোট চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , লঙ্ঘন করছেন আদর্শ আচরণবিধি। অবিলম্বে মোদিকে নির্বাচনী লড়াই থেকে নিষিদ্ধ করা হোক।  এই অভিযোগকে সামনে রেখে মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাই কোর্টে । কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। মঙ্গলবার বিজেপি এর উত্তর দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইল। মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে বিজেপির এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা ছিল।
 
রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হন বিরোধী নেতারা। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। এমনকী, ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিকও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিজেপিকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি হিন্দু ও শিখ ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন— এই অভিযোগ এনে দিল্লি হাই কোর্টেও মামলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলাও খারিজ হয়েছে।
 
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি হিন্দু ও শিখ ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন— এই অভিযোগ এনে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা হয়। আর্জি ছিল, আগামী ছয় বছরের জন্য তাঁকে যেন ভোটে লড়তে না দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ।

 

নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য নিয়ে জবাব চাওয়ার একই সময়ে, একই ভাষায় নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধির বক্তব্যের জন্য কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে জবাব চেয়েছিল। রাহুলের বিরুদ্ধে বিজেপি উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে বিভাজন তৈরির অভিযোগ তুলেছিল। কংগ্রেস এর জবাব দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেসকে কমিশন এই অতিরিক্ত সময় দিতে রাজি হয়েছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য কমিশন মুখ খোলেনি।

অন্যদিকে রাহুল গান্ধির একাধিক ভাষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ ছিল, রাহুল ভোটের জন্য উত্তর ভারত-দক্ষিণ ভারত বিভাজন করেছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয় কংগ্রেসকেও। ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই সেই জবাব দেওয়ার কথা ছিল। জবাব দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস ।