আত্মনির্ভর ভারত গঠনে কৃষকদের স্ত্ততি রাষ্ট্রপতি কন্ঠে

উত্তর-পূর্ব সীমান্তে দেশগুলাে আগ্রাসনী মনােভাব।ভারতীয় বাহিনীও সীমান্তে প্রতিবেশিদের পাল্টা জবাব দিয়ে তাদের সম্প্রসারণের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করচ্ছে।

Written by SNS Delhi | January 26, 2021 12:38 pm

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Photo: SNS)

৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখলেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রতিবেশি দেশগুলাে আগ্রাসনী মনােভাব দেখাচ্ছে। ভারতীয় বাহিনীও সীমান্তে প্রতিবেশিদের পাল্টা জবাব দিয়ে তাদের সম্প্রসারণের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে।

দেশকে আত্মনির্ভর করে তােলার নেপথ্যে দেশের কৃষকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষ কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষিই আমাদের মূল ভিত্তি। কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলেছেন। দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত খাদ্য সরবরাহ করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষিত রাখার মহান কর্তব্য পালনে দেশের কৃষকরা পরিশ্রম করে চলেছেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত দেশের কৃষকদের কুর্ণিশ জানানাে। তাদের কর্তব্যপরায়ণতাকে কুর্নিশ জানানো উচিত, কেননা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি হয়েও ভারতের মতাে এতবড় দেশের জনগনের প্রয়ােজনীয় খাদ্য শস্য উৎপাদনের দায়িত্ব তারা পালন করছেন।

শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদনেও ডেয়ারি কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। পাশাপাশি, দেশকে শত্রুপক্ষের হাত থেকে রক্ষা করতে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় জওয়ানরা। কঠোর হাতে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবেশিদের ঘৃণ্য পদক্ষেপকে বানচাল করে ভারতীয় বাহিনী দেশের মাটি ও দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত সুরক্ষিত রাখছে।

সিয়াসে ও গালওয়ান উপত্যকায় শীতের মরসুমে -৫০ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভারতীয় জওয়ানরা যতটা সক্রিয় থাকে, ঠিক তেমনই জয়সলমিরের ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠিক ততটাই সক্রিয়তা প্রদর্শন করে। হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রা ও মরুভূমির উষ্ণ তাপমাত্রাও ভারতীয় জওয়ানদের কর্তব্য থেকে টলাতে পারে না।

পদাতিক বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বায়ুসেনাও সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে বুড়াে আঙুল দেখিয়ে শত্রু দমনে সজাগ থাকে। প্রতিমুহুর্তে তারা আমাদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করছেন। সশস্ত্র বাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা সুসংবদ্ধভাবে শত্রুপক্ষের ঘৃণ্য প্রচেষ্টাকে বানচাল করে চলেছে।

কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে বেশ কিছু লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা যাবে। দর্শকের সংখ্যা ১,২৫ লাখ থেকে কমিয়ে ২৫,০০০ নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুদের প্যারেড দেখা যাবে না। প্রতি ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি, ট্যাবলােয় অংশগ্রহণকারীদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে।