ভোটার তালিকার কোনও রুটিন আপডেট চলছে না। যদি কোনও বিশেষ সংশোধন করা হয়, তবে সেই প্রক্রিয়া ন্যায়সঙ্গত হওয়া প্রয়োজন। যেটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, জাতীয় কমিশন সেটিই করবে। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন একথা বলেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাজের নাীতিগুলি সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনভাবে ব্যাখ্যা করতে চায়।
এদিন আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন তথা আরওপিএ অনুসারে ভারতের নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন পরিচালনা করার ক্ষমতা শুধুমাত্র একটি নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, সামগ্রিকভাবে নয়। আদালতে কপিল সিব্বলের সওয়াল ছিল, কোন ক্ষমতাবলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। আইনজীবী মনু সিংভিও যুক্তি দেন যে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৩২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকত্বের মূল্যায়ন করতে পারে তখনই, যদি কেউ ১৯৬০ সালের ফর্ম -৭-এর অধীনে করা আবেদনে নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আপত্তি তোলে। অন্যথায় দুটি আইন আছে – বিদেশী আইন এবং নাগরিকত্ব আইন- যা কিনা অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যার সমাধান করে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আপনার বাবা-মায়ের রেকর্ড জমা দিতে না পারার কারণে যদি আপনার ভোট হারান তাহলে সেটি গুরুতর বিষয়।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী মনু সিংভি আদালতে বলেন, যদি ছবি যাচাই করা হত, বা এমন কিছু করা হত তাহলে কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন যা করা হচ্ছে, তাতে কেউ নাগরিক কিনা সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিএলও-দের পরিস্থিতি নিয়ে ফের সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর বক্তব্য, একজন বিএলও কীভাবে বিবেচনা করবেন যে তিনি মানসিকভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন। এটি বিবেচনা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিএলও হিসেবে স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ করা নিয়েও প্রশ্ন করেন কপিল সিব্বল। তাঁর বক্তব্য ছিল, কারও নাগরিকত্ব নির্ধারণ করার জন্য বিএলও হিসেবে এই অধিকার একজন স্কুলশিক্ষককে দেওয়া যায় না। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
Advertisement



