• facebook
  • twitter
Friday, 4 October, 2024

আমেরিকায় আক্রান্ত ভারতীয় পড়ুয়া, পরিবারের আর্জি মেনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস

শিকাগো, ৭ ফেব্রুয়ারি – আমেরিকায় আক্রান্ত হলেন ভারতীয় পড়ুয়া। শিকাগোয়  সশস্ত্র আততায়ীরা তাঁর উপরে হামলা চালিয়ে ফোন ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। আহত যুবকের পরিবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন জানিয়েছে যেন এই বিষয়ে মোদি সরকার হস্তক্ষেপ করে এবং ওই পড়ুয়ার যথাযথ চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করে।আর্জি মেনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস। সব রকম সহায়তা করা

শিকাগো, ৭ ফেব্রুয়ারি – আমেরিকায় আক্রান্ত হলেন ভারতীয় পড়ুয়া। শিকাগোয়  সশস্ত্র আততায়ীরা তাঁর উপরে হামলা চালিয়ে ফোন ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। আহত যুবকের পরিবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন জানিয়েছে যেন এই বিষয়ে মোদি সরকার হস্তক্ষেপ করে এবং ওই পড়ুয়ার যথাযথ চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করে।আর্জি মেনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস। সব রকম সহায়তা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সৈয়দ মাজাহির আলি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তিনি শিকাগোর ইন্ডিয়ানা ওয়েসলেয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠরত। নিজের বাড়ির খুব কাছেই তিনি আক্রান্ত হন। এক ভাইরাল ভিডিওয় আক্রান্ত পড়ুয়াকে বলতে শোনা যায় , ”আমি খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় চারজন আমার উপরে হামলা করে। ওরা সশস্ত্র ছিল। আমাকে লাগাতার লাথি, ঘুসি মেরে ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন।” জানা গিয়েছে, আলির শরীরে বহু জায়গায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে হামলার ফলে।

আক্রান্তের পরিবার হায়দরাবাদে থাকে। তাঁর স্ত্রী ও তিনটি ছোট  শিশু রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিদেশে এভাবে আলির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সকলেই উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যেই তাঁর স্ত্রী বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই ঘটনার কথা জানিয়ে সৈয়দের স্ত্রী বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখেও সাহায্য চান। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘শিকাগোতে আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। আপনাকে অনুরোধ করছি সৈয়দের চিকিৎসা পেতে সাহায্য করার জন্য। যদি সম্ভব হয় দয়া করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করুন যাতে আমি আমাদের তিন সন্তানকে নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে আমেরিকায় যেতে পারি।” মঙ্গলবারই শিকাগোর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা আলির সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ রেখেছেন। এবং সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে তাঁকে।

আলির তুতো ভাই আবদুল ওয়াহাব মহম্মদও আমেরিকাতেই স্নাতকোত্তর পড়ছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ”কখনও কখনও মনে হয়, পড়া অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে যাই। এই ধরনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, এখানে কারও কোনও নিরাপত্তা নেই।” এদিকে আলিও জানাচ্ছেন, ”আমেরিকা আমার স্বপ্নের দেশ। এখানে এসেছি নিজের স্বপ্নপূরণ করতে। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে ট্রমার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।”

এদিকে ফের আমেরিকায় রহস্যমৃত্যু ঘটেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার । এই নিয়ে এবছর এটি চতুর্থ ঘটনা। ২৩ বছরের ওই পড়ুয়া ইন্ডিয়ানার পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছিলেন। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম সমীর কামাথ। তিনি ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন। মার্কিন নাগরিকত্বও পেয়ে গিয়েছিলেন সমীর। এই পরিস্থিতিতে সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি।এবছরই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক ভারতীয় পড়ুয়ারও রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে বার বার এভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এমন পরিণতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।