২৯ ডিসেম্বর–ক্লাস করাতে এসে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো দেখছিলেন শিক্ষক। হটাৎই সেই ভিডিও দেখে ফেলে আট বছরের এক ছাত্র। স্যারের কীর্তি দেখে ক্লাস জুড়ে শুরু হয়ে যায় হাসাহাসি। অভিযোগ, এরপরেই রাগে ওই ছাত্রটিকে বেধড়ক মারধোর করে শিক্ষক। চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে মাথাও ঠুকে দেন তিনি। ঘটনার কথা ছাত্রটি তার বাবাকে জানালে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ঘটেছে এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম কুলদীপ যাদব। ক্লাসে এসে ক্লাস না করিয়ে তিনি মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন তিনি। খুদে এক ছাত্র শিক্ষকের এই কাণ্ড দেখে ফেলে। এরপর আরও কয়েক জন ছাত্র শিক্ষকের কীর্তি দেখতে পায়। শুরু হয়ে যায় হাসাহাসি। এতেই রেগে আগুন হয়ে ওই ছাত্রকে রীতিমত মারধোর করে তার মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ছাত্রের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, মারধোরের ফলে তাঁর ছেলের মাথায় ও কানে আঘাত লেগেছে। এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক ক্লাসে বসে এই ধরনের ভিডিয়ো দেখতেন বলে অভিযোগ। এমনকি বাঁশ দিয়েও ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ঝাঁসি গ্রামীণের পুলিশ সুপার গোপীনাথ সোনি জানিয়েছেন, ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ক্লাসে ঠিক কী ঘটেছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছেন, এখনও তা
জানা যায়নি।