করোনাভাইরাস’এ প্রথম মৃত্যু তামিলনাড়ুতে, দেশে মৃত বেড়ে ১৩

করোনাভাইরাসে এবার প্রথম মৃত্যু হল তামিলনাড়ুতে। বুধবার ভোররাতে মারা গিয়েছেন ৫৬ বছরের এক রোগী। এই নিয়ে দেশে কোভিড ১৯’এর বলি হলেন ১৩ জন।

Written by SNS Chennai | March 26, 2020 7:42 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo : Xinhua/Xiong Qi/IANS)

করোনাভাইরাস’এ এবার প্রথম মৃত্যু হল তামিলনাড়ুতে। বুধবার ভোররাতে মারা গিয়েছেন ৫৬ বছরের এক রোগী। এই নিয়ে দেশে কোভিড ১৯’এর বলি হলেন ১৩ জন। বুধবার ভোররাতে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়শংকর টুইট করে জানিয়েছেন, রাজাজি হাসপাতালে করোনায় যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে শাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ছিল অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিজ ও উচ্চ রক্তচাপ।

এর আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সে রাজ্যে নতুন করে ১৩ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস । তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, ‘চেন্নাইয়ে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নিউজিল্যান্ড ফেরত এক বৃদ্ধ বেসকারি হাসপাতালে ভর্তি। ৭২ বছরের বৃদ্ধা কিলপাউক হাসপাতালে এবং ৩১ বছরে লন্ডন ফেরত যুবক রাজীব গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

মঙ্গলবার দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬২। ক্রমেই উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দুটি রাজ্যে— মহারাষ্ট্র এবং কেরালা। দুই রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।

মহারাষ্ট্রে এদিন নতুন করে তিনজনের শরীরে ভাইরাস মিলেছে। ঠিক পরেই কেরালা, আক্রান্ত দক্ষিণের এই রাজ্যের কাছে উদ্বগের বিষয় হল, এখানে আক্রান্তের হার মহারাষ্ট্রের থেকে বেশি। এদিন এই রাজ্যে ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

এদিকে, সোমবার গভীর রাতে মুম্বইয়ে আরও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, ওই বৃদ্ধ সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। আমেদাবাদ হয়ে তিনি মুম্বই যান। তার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করানো হয় কস্তুরবা হাসপাতালে, সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

করোনার জাল এবার উত্তর-পূর্ব ভারতেও ছড়াতে শুরু করেছে। এদিন মণিপুরে আক্রান্ত হন এক তরুণী। সদ্য ব্রিটেন থেকে ফিরেছেন তিনি। উদ্বগের বিষয় হল, বিদেশ থেকে তিনি ফিরেছেন দিল্লি এবং গুয়াহাটি বিমানবন্দর হয়ে। পরিবারের পাশাপাশি যাত্রাপথে তিনি কোন কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে আগেই লকডাইনে চলে গিয়েছে অধিকাংশ রাজ্য। এদিন পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু’র মতো কয়েকটি রাজ্য ঝাঁপ ফেলার নির্দেশ দেয়। অনেকে অন্য রাজ্যের সঙ্গে সীমানা বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে। তবে, রাতে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ায় পৃথকভাবে রাজ্যগুলির ঘোষণা আর কার্যকর রইল না।

কেন্দ্র জানিয়েছে, গুজরাট, অসম, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, গোয়া, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং জম্মু কাশ্মীরে শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এ সবের মধ্যে আশার কথা একটাই, দিল্লি এবং রাজস্থানে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি।