• facebook
  • twitter
Friday, 14 November, 2025

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে শান্তির বার্তা দিলেন কলকাতার শিল্পী স্বাতী ঘোষ

সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাতী ঘোষ বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য শিল্প ও শিক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কলকাতার চিত্রশিল্পী স্বাতী ঘোষ দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে আয়োজিত অষ্টাদশ বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে শিল্প ও শিক্ষার মাধ্যমে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়ে দেশকে গর্বিত করলেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট সম্মানও অর্জন করলেন।

১৬ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর চেওংজু শহরে অনুষ্ঠিত এই মহাসম্মেলনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘হেভেনলি কালচার, ওয়ার্ল্ড পিস অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব লাইট’ (এইচডব্লিউপিএল)। সহযোগী সংগঠন হিসেবে অংশ নেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস গ্রুপ’ (আইডব্লিউপিজি) এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস গ্রুপ’ (আইওয়াইপিজি)। এ বছর সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আধ্যাত্মিক নেতা, নারী ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধি মিলিয়ে ৭৭০ জনেরও বেশি বিশিষ্টজন।

বিশেষ অতিথি ও আন্তর্জাতিক বিচারক হিসেবে এই প্রথমবার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করলেন স্বাতী ঘোষ। তাঁর পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র থেকেও দুইজন বিচারককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাতী ঘোষ বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য শিল্প ও শিক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শান্তি ও সম্প্রীতির মূল্য শেখানোর মাধ্যমে নারীরাই আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

এই বৈশ্বিক আলোচনার মূল বিষয় ছিল নারীর নেতৃত্ব, শান্তি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বিশ্বশান্তির জন্য ‘ডিক্লারেশন অব পিস অ্যান্ড সিসেশন অব ওয়ার’ (ডিপিসিডব্লিউ) কার্যকর করা। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা স্বাতীর শিল্পকর্ম ও শান্তির বার্তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তাঁকে সম্মানিত করা হয় আন্তর্জাতিক স্তরে শান্তির দূত হিসেবে।

স্বাতী ঘোষ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি ভারতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করতে চান। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, শিল্পই হতে পারে এমন এক সেতুবন্ধন, যা সংস্কৃতি ও সমাজকে যুক্ত করে বিশ্বশান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম।