আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যে ডাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন, তার মূল কথা হল দেশীয় পণ্যের ওপর জোর। মোদির ভাষায় ভোকাল ফর লোকাল। অনেকেই বলছেন, আরএসএস-র স্বদেশী লাইনে হেঁটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার একটি ওয়েবিনারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছেন, স্বদেশি মানে বিদেশি পণ্য বয়কট করা নয়। তাঁর কথায়, যে পণ্য বা প্রযুক্তি ভারতে পাওয়া যায় সেগুলির ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্যের ওপরই জোর দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বিদেশি জিনিস ব্যবহারের ঝোক কমানো প্রয়োজন। কিন্তু ভারতে যা পাওয়া যায় না সেই ধরনের পণ্য তো বিদেশ থেকে আনতেই হবে। স্বদেশি মানে এই নয় যে সমস্ত বিদেশি পণ্য বয়কট করতে হবে।
Advertisement
একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গতকাল মোহন ভাগবত বলেন, আত্মনির্ভরতার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তা সঠিক। ভারতে যা পাওয়া সেই পণ্যও বিদেশ থেকে আমদানি করা হলে ভারতীয় পণ্য মার খাবে। সার্বিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতির প্রশ্নেও দেশীয় পণ্যের ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
Advertisement
ওয়েবিনারে কথা ওঠে চিন সহ অন্যান্য দেশের পণ্য বয়কট করা নিয়ে। সে সময়ই সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করেন ভাগবত। তবে লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের পর চিনা পণ্য বয়কট করার যে ডাক সারা দেশে উঠেছে, তাকেও স্বতঃস্ফূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভাগবত।
কোভিড পরবর্তী পরিক্তিতিতে অর্থনীতিকে সঠিক পথে রাখতে কী পন্থা নেওয়া উচিত, সে ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন মোহন ভাগবত। তাঁর কথায় পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে যদি সঠিক পথে চালনা করতে হয়, তাহলে প্রতিটি দেশকে ভাবতে হবে গোটা বিশ্ব একটি পরিবার। সারা বিশ্বকে একটি বাজার ভেবে নিলে আরও গাড্ডায় পড়বে অর্থনীতি।
প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ঘোষণার পর অনেকেই বলেছিলেন, এই ভাষণের মধ্যে নাগপুরের দর্শন স্পষ্ট। তাদের মতে, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ এই ভারত। এটাই তো বিপুল একটা বাজার। আর সমস্ত উৎপাদন যদি দেশেই হয়, তাহলে অর্থনীতির এই কোমর-ভাঙা দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
Advertisement



